চৈত্র হাসিছে আজি কাঠফাটা রোদ,
জ্বলিছে সূর্যি খুলে তেজিয়ান ঠোঁট ;
মেলিছে শঙ্খ ডানা রোদে ভিজে ,
গাহিছে কোকিলা বন শেষ আমেজে।
ধান-পাতা সাজিছে আজ রঙিন কেশে,
রোদ ঝরে ঝিকিমিকি মুক্তো খসে।
সোনালি পরশে লাগে স্নিগ্ধ খুশি ;
দুখ ফেলে সুখ মনে নীরবে পুষি।
রূপোলী বালিতে ঝরে সোনা চিকমিক,
পবনে জাগিছে আজি বেহুলার দিক।
তুহিন কুঞ্জবনে দেখি রঙের মেলা -
পুষ্পমাল্য অর্পণিলাম সাঁঝের বেলা।
আঁখিদ্বয় প্রাণ ভয়ে কেঁদে কেঁদে কয়,
আসিও আবার ফিরে পাহিলে সময়।
ঠোঁটজোড়া কেঁপে উঠে মৃত্যু ফাঁপরে;
শিশির হয়ে দিও দেখা মাঘের ভোরে।
পদপাতে স্বজনেরা কাঁদিবে ফুপিয়ে,
শয়নে বসিয়ো তুমি আয়াত হয়ে ।
পথের বাঁকে তুমি জড়াইয়ো আমায়,
কালিমা হইয়ো তবে ঠোঁটের ডগায়।
ছুঁলে তুমি যবে থেকে আমার এই মন,
খুঁজিছে তোমারে মোর অধম নয়ন।
স্বপনেতে আসো তুমি মরিচীকা নিয়ে,
মরুতে ভাসিলাম আমি বেদুঈন হয়ে।
মেঘেতে আঁকিলাম তার অলীক বদন;
হিংসুটে ভাবে দেখে গুরু-মহাজন।
এসো মোর ঘরে তুমি তুলিয়া ঘুঙট
বরণিবো কিংশুকেতে ফাগুনের লাল-টুক।