মায়ের চোখের কোণে বাধাহীন নোনাজল
শ্রাবণের ধারা যেন বহমান!
বোনের মলিন হাসি-বুঝতে না পারে কেউ
হাসিটা যে খুব বেশি বেমানান।
অভাবের যাতনায় চোট নিয়ে কলিজায়
ভালো নেই বাবা আজ তুমিও,
তোমার বেকার ছেলে অভাগার মতো কাঁদে
কাঁদে যে আকাশ আর ভূমিও!
দিনের আলোয় দেখি জোনাকিরা জ্বলে নিভে
রাতে যেন সুরুজটা হয় লাল!
আমিও যে ভালো নেই ভুলে যাই নিজেকেই
ভেবে দেখো কত বেশি বেসামাল?
কপালের কী বা দোষ গরিবের আফসোস
এ জীবনে সুখ বুঝি হবে না!
নেই ডাল নেই ভাত অভাবের উৎপাত
জানি নাতো কবে আর রবে না।
গাছের পাতারা মরে-জেগে ওঠে পুনরায়
আমি কেন হতে সেটা পারি না?
ঘরে থেকে দিন যাবে এমনটা কে বা ভাবে
কখনো তো আমি আর নারী না!
নারীরাও কাজ করে আয় করে ভরপুর
তারা আজ নিজ বলে বলীয়ান,
আমি কেন বোকা হয়ে যাই শুধু ক্ষয়ে ক্ষয়ে
দেই শেষে নিজেকেই বলিদান?
বলির পাঁঠারও জানি-হাঁকডাক,দাম থাকে
দামহীন আমি শুধু ফ্যালনা,
কী এমন পাপ বিধি করেছি যে অজানায়
যেন আমি সাধারণ খ্যালনা!
আমার সাথেই কেন এতবেশি লুকোচুরি
দাও তবে ফের চিরমুক্তি,
তা আবার করবে না শূন্যতা ভরবে না
বুঝি নাতো এ কেমন যুক্তি।
পারলে আঘাত করো ছিঁড়ে দেখো বুকটাকে
দেখো কত জমে আছে কষ্ট!
আর কত নিতে পারি প্রাণ বুঝি যায় ছাড়ি
জীবনটা হয়ে গেছে নষ্ট।
পুকুরের জল হাসে পাখিদের দল হাসে
দেখেও তা আমি আর হাসি না!
পাশ কেটে গেলে চলে চুপে চুপে বুঝি বলে
হাসিটাকে আমি ভালোবাসি না।
সবাইতো বোঝে ভালো জীবনটা জমকালো
তবে কেউ আমাকে তো বোঝে না!
কেউবা বোঝে খানিক নই আমি হিরে মানিক
তাই বুঝি কখনো তো খোঁজে না।
খুঁজবে বা কেন তারা আমি এক দিশেহারা
মগজে বুঝ আমার ধরে না,
রাস্তার কুকুরেরা ঘেউ ঘেউ করে বলে
এই শালা কেন আজও মরে না!