আমার আমিতে যতটা না আমি ততটা তুমিতে ভরা,
মনেরই মাধুরী মিশিয়ে হৃদয়ে প্রেমাতুলি ছুঁয়ে গড়া।
দিবানিশি ভেবে রূপেতে মাতাল আবেগের খুনসুটি,
তোমার তুমিতে বিলীন হৃদয় চায় নাতো আর ছুটি!
শরতে যেমন সাদা কাশবনে মাতাল হাওয়ার ঢেউ,
তেমনই ঢেউয়ে মন খেলে যায় ডাকলে তোমায় কেউ।
পিপাসু দুচোখ তখন তোমায় এদিক-ওদিক খোঁজে,
হৃদ-কম্পনে পাগল মনটা তুমি আছ সেটা বোঝে।
ভাবে যে তোমায় ভরা বরষায় কদমফুলের দেশে,
ভালোবাসা মাখা চাদর জড়ানো রাজকুমারীর বেশে।
আদরে সাজানো প্রেম-বাগিচায় আলো ঝলমল করে,
তেমনই তোমায় যতনে রাখা যে এই হৃদয়ের ঘরে।
তুমি বসে থাক অবুঝের পানে লজ্জাতে হয়ে লাল,
বসন্তকালে লালেতে যেমন কৃষ্ণচূড়ার ডাল।
শীতল বাতাসে সুবাসিত ঘ্রাণ দোলা দিয়ে যায় মনে,
ভাবতে ভাবতে হারায় হৃদয় কল্পনা আলাপনে।
গ্রীষ্মের রোদে চাতক যেমন পিপাসিত মোহনায়,
তোমায় দেখার সাধটা তেমন মেটে নাতো কলিজায়!
শয়নে স্বপনে দেখে বারবার মনে আঁকা সেই ছবি,
নেশাতে বিভোর ভাবুক মনটা হয়ে গেছে যেন কবি।
লেখে আনমনে প্রেমের কবিতা তুমিতে হৃদয় মিশে,
অনুভূতিগুলো নাড়া দিয়ে যায় নতুন প্রেমের শিষে!
হেমন্ত এলে কৃষক যেমন মেতে ওঠে উৎসবে,
তেমনই আমিতে মেতে রও তুমি সুখে মোড়া অনুভবে।
খোলা মাঠে যেন শীতল বাতাস বলে যায় কানে কানে,
ঠোঁটে মাখামাখি সুরের ভুবন মেলাতে প্রেমের গানে।
মন খুঁজে চলে কোথা আছ তুমি আর কত একা একা,
দূরে সরে থেকে ভেবে ভেবে বাঁচা-হয় না কেন যে দেখা!
ঘাসের ডগায় শিশিরে যেমন ফোটে সুরুজের হাসি,
তুমিতে তেমন মিশে একাকার অনুভূতি রাশি রাশি।
এভাবেই কাটে জীবনের বেলা ঘোরের গোলক ঘুরে,
মেতে থাকি সদা আমার তুমিতে সারাটা বছর জুড়ে।