(ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়া হাজারো লাশের স্মরণে)

সস্তা দামে, স্বল্প মূলধনে কেনা
বঞ্চিত, লাঞ্চিত, হত দরিদ্র খেটে খাওয়া এসব শ্রমিক।
এদের পূঁজি করে লাভবান হই রাতারাতি।
বিলাস বহুল গাড়ি, রাজকীয় ভবন, অর্থ বৈভব
এসবই শ্রমিকদের ঘাম ঝরা, রক্ত পানি করা শ্রমের বিনিময়ে।

অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠা, ফাটল ধরা রানা প্লাজায়
গলা ধাক্কা দিয়ে মৃত্যু পূরীতে ঠেলে দিয়ে উপহার পেলাম
ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়া গলিত, অর্ধ গলিত ১১৩০টি লাশ
জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা বেওয়ারিশ ২৬৭টি,
নিখোজের কোন পরিসংখান নেই, পঙ্গুত্ব বরণ করে নিল হাজারো শ্রমিক।
মুহুর্তেই তছনছ হয়ে গেল সাজানো গুছানো সংসার।

ছোট্ট শিশুটি এখনও মা-বাবার প্রতিক্ষার প্রহর গুনছে
স্বজনহারারা বুক চাপরাচ্ছে, খুজে ফিরছে বুকের মানিককে
"ও ভাই আমার মেয়েতো পাইলাম না, আমার বাজানতো আর লাশ হইয়া ফিরলনা,
আমার বোনতো কইছিলো ডিউটি শেষ কইরাই ফিরব, হেতো আইলোনা,
ট্যাহা পয়সা চাইনা, হাড়-গোড় থাকলে একটু দেন ?"

আমরা তোমাদের দুঃখ, বেদনা, হতাশা ছাড়া আর কিছুই দিতে পারিনি
আমাদের নৈতিকতা, মানসিকতা, মানবিকবোধ বলতে কিচ্ছু নেই
তোমাদের কাছে ক্ষমা চাই, আমাদের ক্ষমা করে দিও।