বর্ষা মানেই আকাশ
এই কালো,এই স্বচ্ছ।
বর্ষার মেঘের প্রতি
নেই কোন ভরসা।
তবে ভরসা করতে গেলে
স্বচ্ছ মনের আবশ্যক।
তেমনি বর্ষার বিদায় ঘটিয়ে
আগমন শরতের মেঘমুক্ত গগনের।

শরৎ মানে নদীর তীরে
রাশি-রাশি কাশফুল।
শিউলির তলে বিছানো
ঝরা শিউলির চাঁদর।
শরৎ মানে বৃক্ষে-বৃক্ষে
সবুজের নিবিড় সংকেত।
খন্ড-খন্ড মেঘ যেন
গিয়েছে নিরুদ্দেশ যাত্রা।
শরৎ মানে দক্ষিনা বাতাস,
বিলে-বিলে পদ্ম-শাপলার সমারোহ।
শরতের প্রকৃতি যেন
স্নিগ্ধ-শান্ত-মায়াময়।

শরৎ মানে রাত্রির শিশিরে
ঝরে পরা শুভ্র মেঘমালা।
শরতের সাথে রয়েছে মিল
অপূর্ব শোভনা প্রেয়সীর।
গ্রামের বধূ যথা মাটি লেপন করে
গৃহকে করে নিপুন।
তেমনি শরৎকাল প্রকৃতিকে
সুন্দর আভরণে করে ভূষিত।

তুমি যে ঋতুর রাণী,
তোমারি গুনেতে মুগ্ধ বাংলার কবিকুল।
তোমারি অপরূপ রূপে
হিয়া চাই হারিয়ে যেতে তোমাতে।

তবে মনুষ্যজাতি বড়োই স্বার্থলোভী।
প্রকৃতিকে ক্রমে-ক্রমে
পতনের দিকে করিছে আনয়ন।
প্রকৃতির অস্তিত্ব রক্ষায়
দায়িত্ব পালনে নেই কোন প্রচেষ্টা।