সে এক মস্ত গ্রাম,
নাম তাহার কোশিগ্রাম।
আমার সোনার বাংলার একপ্রান্তে,
রয়েছে সে নীরব-নিশ্চুপ-নিশ্চিন্তে।
সেথা অশ্বত্থ-আমের ছায়াতলে,
বসিয়া দু-দন্ড শান্তি মেলে।
এমন গ্রামটি তুমি কোথাও পাবেনা ভাই,
আমার গ্রামের সম,আর কারো তুলনা নাই।
সেথা ধান-সরিষার অতল গন্ধে,
কৃষকের হিয়া নৃত্যরত বাউলের ছন্দে।
সবুজ ঘাসের ডগায় শিশিরের জলকণা,
রমণীর নগ্ন পায়ে নূপুরের ধ্বনি যায় যে শোনা।
পুস্করিণীতীরে বসে মাছরাঙা পাতে ফাঁদ-
কোথা সে পাবে আহারের স্বাদ।
বসন্তে পিককুল সেথা,কুহু-কুহু সুরে ধরে গান,
তখনি বেজে ওঠে হৃদয়ের স্পন্দন।
গ্রামের আঁকাবাঁকা পথের বাহার,
তারি দুধারে সজ্জিত কুঁড়েঘর।
সেথা প্রভাতে নিদ্রা জাগে বিহগের কাকলি-কূজন ডাকে,
গোধূলিতে ভানু অস্ত যায় তটিনীর বাঁকে।
শহরের যান্ত্রিক-কোলাহল পরিবেশে হাপিয়ে ওঠে পরান,
তখনি গ্রামে ফিরে যেতে তৃষা জাগে জনম-জনম।
সেতো আমারি গ্রাম,
নাম তাহার কোশিগ্রাম।