দোস্ত , ১৪ টা বছর তোকে
চিঠি লিখি না ।

মানে, ১৪ টা বছর
বলতে পারছি না  
মনের কথা গুলো  ।

মানে, ১৪ বছর আমি
কথা বলি না
মন খুলে, প্রান খুলে ।

তুই কি ১৪ বছর
অধীর অপেক্ষায় আছিস
আমার কথাগুলো শুনতে  ?
খুব জানতে ইচ্ছে করে ।

বারবার বহুবার তোকে লিখতে চেয়েছি
কাগজ আর কলম হাতে নিয়েও
কোথায় ও কখন যেন
আটকে গেছে কথাগুলো ।

বিশ্বাস কর ,সারাবেলা  তোকে
লিখব বলে , কথা সাজিয়েছি
ভাবনার বাহির ও ভেতর
এই ১৪ টা বছর ।

যেন তোকে সামনে বসিয়ে
ইচ্ছেমত বলেছি , আমার কথাগুলো ।
আর তুই যেন
শুনছিস তা , সব ভুলে ।

১৪ বছর পেরিয়ে ও
এই পড়ন্ত উদাস বিকেলে
তোকে আমার এতোটুকু  
দূরে বা দূরের মনে হয়নি ।

আজ যখন এই পর্বত ঘেরা
প্রাচীন নগরের অর্বাচীন
ঝর্ণা গড়িয়ে , বহমান ধাঁরা
নিচে নেমে আসে ,
তোকে খুব মনে পড়ে ।

অজস্র ঝর্নাসৃষ্ট
নদীটা দেখে  আনমনে ভাবি
হয়তো দেখা হবে, আগেরি মতো
তুই আর আমি ।

একসাথে দুজন থাকলে
কতো না কাব্বিক আর নান্দনিক
উপমা দেয়া যেতো, দুজন মিলে।

যখনি কোন সুন্দর দেখি
দোস্ত , তোকে খুব মনে পড়ে ।


এই সুদূর প্রবাসে
ইতালি আর অস্ট্রিয়ার সংযোগস্থলের
ব্রেন্নার পাস রেলস্টেশনে বসে
একাকী তোকে লিখছি ।

শেষ বেলায় ,সেই আগেরি মতন
সুখে আছি , তুই ও থাকিস ।

ব্রেন্নার পাস রেল স্টেশন,
বোলজানো , ইতালি ।
১২.০৮.২০১৩