কথা দিয়ে কথা নাহি রাখা ট্র্যাডিশন
আধুনিক সভ্যতার সভ্য নিদর্শন।
ফুল ফুটে ফুল মারে সপুষ্প উদ্যান,
অগ্রে মান্য পিছু হান্য ধরা মরূদ্যান।
আপন তেজস্বী, পর অর্থ লোভে,
সুগন্ধে সৌরভ আজ ঈর্ষা ক্ষোভে।
ধরা ঘুণ প্রাণ খুন নিত্য চর্চা পাঠে
মানবতা পরাজয় প্রতি ঘাটে মাঠে।
রক্ত স্রোতে বাহুবলী নিজ বলি তরে,
মোরা খুনি মানবতা থাকি এ সংসারে।
নৈতিক শিক্ষার ক্ষয়ে জীবন গঠন,
মন অতি যে চঞ্চল দুর্মতি জীবন।
জবরদস্তি অজয়ে যে লছমী জয়,
প্রবঞ্চনা! মনুষ্যত্ব প্রাণে নাহি লয়।
চুরি বিদ্যা ভয়, জাতি জ্ঞাতি ধ্বংসে,
মহামারি ভাইরাসে লয় আসে বেশে।
উচ্চ শিক্ষা নিয়া গর্বে হিয়া মহীয়ান,
অজ্ঞাতায় অসহায় হবে বলিদান।
মূর্খ রূপি বিজ্ঞ ধরে সমাজের হাল,
উন্নয়নে ধারা বয় দেশে আসে কাল।
জীবন চরিত্র অর্থে আজ মানদণ্ড,
ক্ষমতার সে দাপটে সদা লণ্ডভণ্ড।
নিয়ম নিয়তি, নীতি নৈতিকতা নিয়া,
সর্ব ত্যাগী যে তপস্বী জুড়ে গেছে হিয়া।
মন্ত্র বলে নাহি কর সমাজকে দাস,
জীব হিতে মঙ্গলার বর দিতে বাস।
অপব্যবহার কর শক্তি, হবে ক্ষতি;
আপন দুর্ভাগ্য বয়ে নাও, হে দুর্গতি।
অর্থে প্রাণ অর্থে হান অতি সংশয়,
শিষ্টাচারে সবে তুচ্ছ জিতবে নিশ্চয়।
ধনুকের বাণ, কথা হান প্রাণে ভীড়ে,
একবার উত্তোলিত নাহি আর ফিরে।
ধ্বংসাত্মক হিরোশিমা, যে ট্রয় নগর,
এক শব্দে স্তব্ধ ধ্বংস সহস্র শহর।
নিমজ্জিতা আধুনিক যে চাটুকারিতা,
শব্দের উল্লাসে যন্ত্রে ভরছে সভ্যতা।
দেশে দেশে গৃহযুদ্ধ, শান্তি নেই রূপ,
তৃতীয় বৈশ্বিক প্রায় প্রস্তুত সরূপ।
আর যুদ্ধ নয় শান্তি চাই প্রণোদনা,
মনুষ্যত্ব ফিরে আয়, প্রাণে কারখানা।।
রচনা : ২৩||০৮||২৩