তীব্র বিষাদ ধরেছে মম আষ্টেপৃষ্ঠে
অক্ষিপটে হতাশার অন্তরীক্ষ দৃষ্টে।
সংশয়ে পথ আরো যে কণ্টকাকীর্ণ,
বিঘ্ন মনোবৃত্তি কৃতি নিরাশ বিবর্ণ।
নেমেছে চোখে তিমির ঘন অন্ধকার,
সাহারা মরুর ধুলি উঠে যত বার।
জীবনের সব পথ যেন আশাহীন,
স্বপ্ন আর বাস্তবতা এক নয় -দীন।
বিষাদিত বিষাদিনী হে বিষাদ সঙ্গী,
নিভু নিভু আলো রশ্মি এ কেমনে রঙ্গি।
সঙ্গ ছেড়েছে সবই তাল লয় ছন্দ,
শত সহস্র দরজা, মধ্যে আছি বন্দ।
সঙ্গ ছেড়েছে সবই শব্দ বর্ণ ভাষা,
ত্যাগ তিতিক্ষার কভু নেই কোন আশা।
সঙ্গ ছেড়েছে ভাবনা, চিন্তা বুদ্ধি যত-
কে বা আছে বাকি স্বীয় সঙ্গ নিবেন তো।
সঙ্গহীনে অসি মসী আছে সে খাতারা,
সঙ্গ ছেড়েছে স্মৃতির যত যাত্রী যারা।
রচয়িতা বিরহিত জ্ঞানে ক্ষয় কৃত,
শাসকের শক্তি-বলে অতীত বিকৃত।
কলমের কালি খালি প্রতি পদে পদে,
বাংলা অক্ষর আজ রয়েছে বিপদে।
মনুষ্যত্ব প্রলোভনে হয় কেনাবেচা,
অকথ্য ভাবে বিদ্বান, শিক্ষা নাকি রেচা।
রাতের চেয়েও দিন আরো গাঢ়তর,
প্রাপ্তি তৃপ্তি ভালোবাসা ইহার ভিতর।
বিষাদ সঙ্গ জীবন অনামিশা পথে,
শিক্ষার তকমা লীন বেকারত্ব সাথে।
ঘন আঁধারে বিলীন কারখানা দ্বার,
শুদ্ধ চিত্ত নিভে দীপ্ত প্রাণ বার বার।
আদর্শ প্রাণ হয়েছে ঘন অমাবস্যা,
সবই ছেড়েছে শুধু রয়ে গেল আশা।
গর্বে আয়ু চলে বায়ু, করেছে অর্জন-
মৃত্যুর পথে জীবন করে সমর্পণ।
১৭ পৌষ ১৪৩১
২ জানুয়ারি ২০২৫