লুকাতে লুকাতে মুষিকের গর্তে
আসার পর মনে হল,
এ ত’ কেউটের ঘর!
আমি বেরিয়েও বা যাব কোথায়?
আমার কত যে দিনরাত্রি গেল,
বুকের পাশে, বুকের ভেতর,
কত উছল কোলাহল,
গীতবাদ্য হাসির হিল্লোল
আমি তুলে দিয়ে গঙ্গাযাত্রায়,
ভেবেছিলাম এমনি থাকি,
এমনি প্রতীক্ষায়;
আমার সর্বস্ব অর্পণ হলে সেদিন
নিশ্চয় কথামতো সে আসবে!
কেউ আসেনি,
কেউ এলো না কোনদিন!
তারপর নিজের ছায়াটিকেও ছেড়ে যাব-
এই পণ ধরে আমি নিজের থেকে নিজে সরে দাঁড়াই,
এতটুকু আলোয় পাছে ছায়া পরে—
এই ভেবে আমি পালিয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছি,
আমি ভেবেছি নিজেকে স্তিমিত করার পর,
এক জ্যোতির ছটায় আমি মিলিয়ে যাব;
যে আলো অপার্থিব!
অথচ পৃথিবীর বাইরে কিছু নেই,
আমি একাই চলে গেছি অন্ধকারে!