ভাঙা মন্দিরে অশ্বত্থ বাঁধে চূড়া,
শূণ্য দেউল, সিঁড়ি বেয়ে গেছে নেমে,
সান্ধ্য অতীতে সলতে আগুনে পোড়া-
মঙ্গলদীপ মৌন হয়েছে জেনে
আমি বুক ভরে নিয়ে বেদনা-বাতাস কোনদিন,
যদি আসি ফিরে, নির্জনে ধীরে, জলভারে করি আঁখি-ক্ষীণ,
তোমাকে তখন দেখতে কি পাব জননী?
এমন তো হবে জানিনি!
কত দূরে আছি, কত দূরে বাঁচি
কত গানে আর ভুলে র’ই, এখন আমি যে কেউ নই!
মাগো এখন আমি যে কেউ নই!
কাঠ-পাথরের দেয়ালে বেঁধেছি ঘর,
সেই ইছামতী স্রোতে সাম্পানে ভাসা দিনভর-
অলস-মানসে গুঞ্জনে জাগা কোন গান,
মনে পড়ে যায়, হুহু করে ওঠে,
চাপা-চিৎকারে কাঁদে দীন-প্রাণ,
খাঁচা তবু ভাঙে না তো; পদশৃঙ্খলে লাগে কম্পন!
যদি বা কখনো সব টুটে যাবে, কখনো যদি মা শুভক্ষণ-
আসে তোমার আঁচলে একবার মাথা রাখতে,
তুমি পারবে আমায় বাঁধতে?