অন্তরে ‘না’ ধরে মুখে ‘হ্যাঁ’ বলে বাঁচা
এভাবে কত কালস্রোতে খড়কুটো হয়ে ভেসে গেলাম!
দেহ-খাঁচা জরাসন্ধের মত জুড়ে দেয়া, তাতে প্রাণ;
প্রতিটি সুরে ভিন্ন যেখানে, সেখানে জোরে বাঁধা-
অভিন্নতার গান, কতটা বেমানান;
তবু তাকে নিয়তি মেনে, অধরে হাসি, ভেতরে কাঁদা,
এ দিন কি ফুরাবে না? ফুরাবে না একদিন?
বৃন্তভাঙা ফুল, সজ্জা-সৌখিন,
মৃতকায়ে আরোপিত রূপসন্ধর্ভ অভিমান, অহং, দর্প
যা কিছু ছাইচাপা দিয়ে ক্লীবের ঋষিত্ব প্রাপ্তির অমায়িকতা,
অবলীলায় শত অভিনয়ে শত মঞ্চে মঞ্চস্থ করা-
হতে পারে একেও বলা যায় নিশ্চিত জীবন, শ্লাঘা-সুসম্মান,
আমার যে তাতে ঘেন্না জমে গেছে!
এদিন কি ফুরাবে না? ফুরাবে না কোনদিন?
অভাগা হয়ে, পথের পর পথে,
ধুলার পর ধুলার ঝড়ে অন্ধনেত্রে, ধ্বস্ত রথে-
অস্তগামী তারার আলোয় দিনাতিপাত, তবু-
নিত্য আলোর মিথ্যে কবিত্ব আয়োজন,
ইনিয়ে-বিনিয়ে বলি- শতমুখে লোকপ্রিয়,
শতাধিক অসত্য ভাষণ,
নইলে বাঁচা দায়।
এদিন কি ফুরাবে না? কখনো কোনদিন?