কোটি আলোকবর্ষ দূরের এক মূমুর্ষু নক্ষত্রের নিষ্প্রভ দ্যুতি
কালো কাপড়ে বাঁধা চোখের তারায় ছড়িয়ে দিয়ে আমিও-
দেখব মুখোমুখি, ঝড়ো মেঘ, কৃষ্ণাকাশ, এই অশ্রুত প্রতিশ্রুতি-
আমি ছুঁড়ে দিলাম সকল শব্দশেকলমুক্ত অ-বাঙ্ময় কবিত্বে!
এরপর তুমি বেজে ওঠো পাঁজরা খুলে মহাপ্রাণ, পাঞ্চজন্য ধরো
উঁচিয়ে শ্রীমুখে, আমি যুদ্ধে যাব, আমাকে নাও তোমার নিমিত্তে,
এতটুকু সবলে চাইবার বিনম্র অধিকার, আমার যেন অটুট থাকে!
নিঃশঙ্ক হবার পণ নিঃসংকোচে আমি হল্লা করে বলে যাব গাঁয়ে গাঁয়ে।
অস্থিচর্মে কালকূট মাখানো বাণের ক্ষত ধরে এই একটি কাতর জন্ম
আমি সুখের বাসনা গেয়ে গেয়ে কাটাতে অক্ষম! আমি প্রলয় বায়ে
উড়ে যাই খড়কুটোর মত, দ্বিধা নেই, তবু পরপদে উষ্ণীষ রেখে ঈশ্বর
আমি মরতে অ-রাজি; আমার জন্ম হতে জন্মান্তর তুমি স্বাক্ষী হ’য়ো-
বারেবারে এমন কবিতা আমি মুখে রক্ত তুলে উগরে দেব! কথা দিলাম!
যুপকাষ্ঠে নামিয়ে কণ্ঠস্বর-
জীবনের মিনতি কড়জোড়ে দানবের বদনপানে, আমি থুথু দেই!
আমার বাকরুদ্ধ হয়, টুটি চেপে ধরে আছে রক্তস্নাত হাত!
হয়ত আমি থেমে যাব শেষ বায়ুকণা বুকে টেনে, অনেক কষ্টে জানি,
তবু আমি দুটো মুণ্ড নামিয়ে যাব অসি তুলে,
তুমি দিলে দিও অভিসম্পাত!