যদিও আঁখির আগে অচল অর্গল,
যদি দেখ অলঙ্ঘ্য স্রোতরাশি উছল পাথার,
শকট বিকল যদি হয়, যদি ভয়-
তরী ডোবে, ছেঁড়ে পাল, ভাঙে হাল;
তবু বলি, বন্ধু হে ‘চরৈবেতি’!
সঘন-মগন-ঘন দিকচক্রবাল, ঐ,
চক্রব্যূহ রচে আঁধারে অরণ্যরাজি,
বজ্রকৃপাণ ক্রুর ঝলকে আকাশ পথে,
প্রলয় শিঙ্গা যদি গরজি উঠে বাজি-
ভৈরব ওষ্ট হতে!
পিশাচ-প্রেতদলে, অথবা মার মোহিনী ছলে,
তুমি ফিরো না পশ্চাতে,
বন্ধু হে ‘চরৈবেতি’!