যে মানুষ টা খানিকটা আগে ভীষণ ঐশ্বর্যশালী ছিলো,
সিন্দুকে থরে থরে সাজানো টাকার শরীর উৎকটভাবে ,
ছড়াচ্ছিল অচেনা গন্ধ।
কপাটের সরু ফাঁকে চোখ পড়তেই দেখি,
দুধের মতো শুভ্র বিছানার চাদরে গড়াগড়ি খাচ্ছে,
জবার মতো রঙ ঢেলে দেওয়া রক্তিম বালিশ।
জানলাম এই বিছানার উপর বসার অপরাধে,
বাড়ির সর্বকনিষ্ঠ শিশুটি ও একদিন লাল চোখ পেয়েছিলো।
এখন সে বড়জোর কপাটের ফাঁকে চোখ রেখে,
দেয় একটা লম্বা ছুট পলায়ন।
শিশু টি আজ দুপুর থেকে শুধু কাঁদছে আর কাঁদছে।
যে মানুষ টির পকেটে হাজার টাকার নোট গুলো গড়াগড়ি খাচ্ছিলো হরদম।
আজ শরীর টা ভীষণ ছোয়াছে আর মূল্যহীন।
তীব্র শীতল রাত।
অথচ।
আজ সে প্রিয় খাকি অথবা মেরুন রঙের দামী শাল জড়ানো নেই,
ভীষণ খুতখুতে ঐশ্বর্যশালী মানুষের নিসার শরীর তখন একশো টাকার বাজারের সস্তা চাটাই-এর উপর,
চুপচাপ, নীরব আর বাবা বলে আদর ডাকের শূন্যতা।
খুব টের পেলাম।
আসলেই মৃত্যু চিরন্তন সত্য,
মৃত্যু মানে শুন্য দুটো হাত।
আর সব কিছু মিছামিছি।