প্রিয় নীল আকাশ,
প্রাণঢালা শুভেচ্ছা নিও।
এটাই হয়তো তোমার প্রতি আমার শেষ নিবেদন।
প্রত্যাশা, যাপিত জীবনে তুমি আনন্দ উল্লাসেই আছো,
যা আমার একান্ত কাম্য।
এই ক'টা দিনে তোমাকে অনেক আপন করে নিয়েছিলাম,
হয়তোবা আমাকেও তুমি নিয়েছিলে আপন করে। কিন্ত,বিধিবাম ;
সুখ যে আমার কপালে বেশি দিন সয়না, হয়েছেও ঠিক তাই!
সুখের পায়রা গুলো খাঁচা থেকে বের হয়ে নীল আকাশে উড়ে গিয়েছে !
তুমি কি জানো,
এখন আর আগের মতো ব্যালকনিতে বসে তারা গোনিনা,
টাপুর টুপুর বৃষ্টির সৌন্দর্য্য উপভোগ করি না।
এখন আর তোমার ম্যাসেজের প্রতীক্ষায় থাকি না,
ফুলের বাগানের সুবাস নেই না,
রাত জাগা পাখি হয়ে রাতের সাথে আর মিতালিও করি না।
প্রিয় নীল আকাশ,
এখন আর বৃষ্টিতে ভিজতে মন চায়না,
রৌদ্রজ্জ্বল জ্বলমলে আলোতে দাঁড়িয়ে থাকিনা,
কবিতা লিখতে কিংবা পাঠ করতেও এখন আর ভালো লাগে না,
মনের যত আনন্দ উল্লাস সব যেন বিষাদে পরিনত হয়েছে।
প্রিয় নীল আকাশ,
এখন একান্তে একাকীত্বে নীরবে নিস্তব্ধে বসে থাকতে ভালো লাগে,
মনের অনুভূতি, উচ্ছ্বাস সব যেন স্থবির হয়ে গিয়েছে।
মনে শান্তি নেই,স্বস্তি নেই,আনন্দ নেই।
শুধুই বিষাদের ঘনঘটা।
ইদানীং, দারুণ সখ্যতা গড়ে উঠেছে নিকোটিনের সাথে !
নিকোটিন যেন এখন এই ছন্নছাড়া জীবনের পরম বন্ধু।
নিকোটিন এখন আমায় শান্তি দেয়,প্রশান্তি দেয়।
প্রিয় নীল আকাশ,
ভুলে যেও, অতীতের আনন্দময় ক্ষণগুলো,
ভুলে যেও,উচ্ছ্বসিত ভালোবাসার খুনসুটি,
ভুলে যেও,দু'জনার অযুত স্মৃতিময় দিনগুলো।
ভুলে যেও,দু'জনার পাগলামো অনুভূতির উচ্ছ্বাস।
ভুলে যেও আমায়, চিরতরে ভুলে যেও।
হয়তোবা কোন একদিন নীল আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখবো,
ঠিকানা বিহীন চিঠি,
হয়তোবা, সেই চিঠি পৌঁছাবেনা তোমার হাতে,
তুমি তখন হয়তোবা থাকবে মধুর মিলনের ফুলশয্যায়।
বিদায় বেলায়, শধু এটুকুই বলি,
চিন্তা করো না আমার জন্য
নিকোটিন কথা দিয়েছে,
পরম বন্ধু হয়ে ছায়ার মতো পাশে থাকবে আমার।
নিকোটিন আর আমি রাতদিন কাটাবো পরম আনন্দে।
শুভ কামনা নিরন্তর
ভালো থেকো, সুখে থেকো
অগণিত ফুলের সমারোহে কাটুক তোমার সুখের জীবন।