নড় বড়ে অস্থিগুলোকে
জড়াই বড় জীর্ন আবরনে
বছরের পর বছর পড়ে থাকি নির্বাক শুন্যতায়।
কখনো বুনো শ্যাওলা জমে
সমস্ত শরীরের অলিতে গলিতে
ঝুল বারান্দায় খেলে
মাকড়সা কিংবা মধ্যবয়সী চড়াই ছানা
শরীরের আনাচে কানাচে ফাটল ধরেছে
সেই কবে কোন ফাগুনের কালে।
রিক্ত আমি,আজও বুঝতে পারিনি
আজও নিভু নিভু জ্বলছে চােখের রূপালী আলো।
কখনোবা, ফাটলে ফোটে রক্ত গোলাপ।
বড় তুচ্ছ আর অবহেলায় পড়ে থাকা
এই জীবন আমার।
অনেকে দিয়েছিল রক্ত গোলাপ।
প্রবল জোয়ারে ছিনিয়ে এনেছিল আমায়।
তবে কেন করছ মজ্জহীন?
বিবস্ত্র সময়ের পদদেশে দাড়িয়ে
পথভ্রষ্ট আত্মারা আজও আছে ।
জীর্ন করতে চায় ওরা,
বর্নমালার চিরমায়াবী মুখটা।