তিথি
লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল
দিগন্ত থেকে চুইয়ে আসে আলো - আমি ভেজা গায়ে
স্রোতের ধারে বসতেই আমায় জড়িয়ে ধরে ছায়া — সেই
ভরাট রাজবংশী রমনীটি নদীতে নেমে যাওয়ার ঢালে
উদ্ভিদের আলপনা আঁকে— সেখানে ভাসন্ত পরাজন্ম
দূর জ্যোৎস্নার নদী থেকে একাকী বুকে অমীমাংসিত কান্না –
কালো কালো পোকাদের তীক্ষ্ণ দাঁত কামড়ে ধরে অশ্বের
লেজ , তাই ঝিঁঝিঁর ভাষা লিখতে পারি —
আমার সামর্থ বড় জোর দশ কিমি সাইকেল রাস্তা, মাঝামাঝি
দুটি প্রান্তিক নদীর সঙ্গম , সন্ধ্যার আকাশে জমতে থাকে পদাতিক
সেই পদশব্দের খিদে নিয়ে খণ্ডণ আমার ,বাতাসের শিকার
যাত্রাকে তুচ্ছ করে এখনো কুঁকড়ে যাই ; জীবনের অসীম ব্যাসার্ধ ঘিরে পিতামহ —
সুপ্রেম জেগে থাকে অনন্তের ভেতর