শিকড়


অবিকল নদী হয়ে যেতে যেতে বুকে ধরি নির্জন,-
বাবলা গাছের বিষন্নতা ; তার ফুল রঙের আলোয়
চেপে ধরি আমার জন্মের নীল মাটি; তারপর
দীর্ঘশ্বাস ফেলে আঁকতে বসি আত্মগত ফসলখেত  
জল খুঁড়তে খুঁড়তে কুপিয়ে যাই মাটির আদিম নেশা ,
তখন সূর্যমুখী হলুদ আমার চারপাশে বিছিয়ে দেয়  
ডোরাকাটা স্বপ্ন শাড়ি , সীতা
বীজতলার জন্য ধার করি হৃদয় কাঁপন , বাড়তে থাকে  
ধানের কথামুখ ,
ভাঙতে থাকি বিষন্নতার জেদ,  হাওয়ারা সাথ দেয়
গন্ধ পাই দাদুর
ঘাম

সময় ছুঁয়ে উঠে আসে রোদ্দুরের লুকোচুরি
জ্যোৎস্নার ভাটিয়ালি বুকে কিরকির, উঁকি দেওয়া স্বপ্নের
কাঁটার আওয়াজ