সেই নির্জন
কেন এই অস্থিরতা ? দিগন্তের পাশে সূর্যকে নিয়ে
আলো উৎসের বিভ্রম , ভেঙে যাচ্ছে ঘড়ির কাঁটা ; দূর
ঋতু স্পর্শের অপরাধ বোধে ক্ষুধার্ত মহুল ঝরে যায় -
পাথর চায় আঘাতের পর আঘাত
দখিনা বাতাসে রাতের ঘুম , নিকোটিনের উপর আলো কমতে কমতে
এক নিঝুম দেবীমূর্তি, ধীর পায়ে এগিয়ে আসে বিহ্বল কমল
মেঘ ডাকছে অহরহ আর তুমি বলছ প্রেমের কথা ?
অপরিচিত বালিশ বিছানা চেতনায় বহুমুখী , ভাষান্তরে একাকার -
খোলা বুকের স্রোত ভেঙে নৌকা বানাই
এখানেই কি ভাসতে চেয়েছি চিৎ হাতের তালু নিয়ে
এখানেই কি নামতে চেয়েছি শেওলা সুবাস ? এবার কাহিনী লিখবে ক্ষয়
পাথরের ফাঁক দিয়ে জলের টান - পা রাখা দায়
সাপের শরীরে শীতল ছোপ - কিংবা যেখানে যাওয়ার কথা ছিল -
বালি খুঁড়ে বাছতে থাকি ; কনক
আত্ম খনন এই , পরিচয় নিয়ে তীব্র অচেনা লাগে
পরিযায়ী পাখিদের রতি শেষে অভ্যাস করি পাশ ফিরে শোয়া
এদিকে তুমি সেই নির্জন ; সরে যেতে যেতে অনন্ত
আমি সেই অর্ঘ্যময় রাতেরই পথিক