পদ্মাসন

একগােছা গোলাপ তখন ভাঙছিল অন্ধকার
ছুঁয়েছিল অনেক দিনের পুরনো একটা মুখ
যে মুখে ফোঁটা ফোঁটা দুঃখগুলো মােম হয়ে
উজ্জ্বল এক মুহুর্তে বেঁধেছিল শত দিন রাতের আয়ু

এ চোখের জলে আমার কোন দায় ছিল না
আমি মুক্তজল, আকাশের ছায়ায় ধ্যানমগ্ন, অনন্ত দিশার
মাঝে স্থির এক পাখি, ঝড় থামাই বুকের টলটলে
পদ্মপাতায়, সরল ফলন ঋতুর ছায়াকে সকলের
অগােচরে বসিয়ে দিই অস্থির মাঠের উর্বর আভায়
আঙুলে আঙুল জড়িয়ে আমার খণ্ডজন্মগুলােকে
ঈশ্বরীর প্রণয় সংকট থেকে অনুচ্চারিত করে ফেলি ,
আলো নেমে আসে ক্রমশঃ পায়ের দিকে - ভয়ে ভয়ে
তাকাই, শহর পেরিয়ে আসা পায়ে লেগে আছে বেহালার স্বর
আমার শীতরাতে ছড়িয়ে যায় তার অমৃত ঘাণ , বিবস্ত্র
স্বপ্নের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় । আমি হয়ে উঠি
একান্ত নির্জন, পদ্মাসন ।