কাঁটা ও পরিব্রাজক
লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল


অন্তঃস্থ পাতাগুলি নড়ছে । শুকনো বাকলের খাঁজ বেয়ে কালো পিঁপড়ের দিন , সারি সারি নেমে আসছে মাটিতে । দ্বিপ্রহর হতে কত বাকি  যেন  — হঠাৎ কেঁদে উঠলো শিশুটি — সে কান্নায় ভরে যায় ঘর — স্পষ্ট হয়ে আসে কমলি শাকের বেগুনি ফুল —তার উপর বসে থাকা ফড়িংটি জল ছুঁতে চায় বারবার — ভীরু ধুতরা গাছের বুকে তিরতির করছে পরিব্রাজক —

আমি অনুবাদ হতে চাইনি কখনো , শুধু হিজলফল আর সন্ধ্যা মালতি দুলছে গরম বাতাসে । তালের ডাঁটা কাটতে কাটতে এখনো ঘরের দিকে তাকাচ্ছে রতনদা — ঝিঁঝি ডাকছে থেকে থেকে — গামছায় হাত মুছতেই কঁকিয়ে উঠল হাতে গাঁথা  দুটো কাঁটা ; সঙ্গত করছে আঁকিবুকি জল আর এবড়োখেবড়ো  স্থল ।    অতলের দিকে এগিয়ে যায় কিছু গুচ্ছমূল —