অবাক করা সেই মিষ্টি হাসি কবে হেসেছিলাম ঠিক মনে নেই,
মনের গহিনে যেই আমি বাস করি, তাকে আমি খুঁজে চলেছি রাতকে দিন।
কোথায় পাবো তারে?

সময়ের বিবর্তনে হারানো সেই দিন আমি প্রতিনিয়ত হাতড়ে বেড়াই
ভাগ্যের কি নির্মম পরিবার্তা, কাউকেই কাছে পাই না আমি!
কষ্টের হাহাকারে বিভীষিকাময় শহরে একাকীত্বের পাথারে
নিষ্ঠুর এই অপেশাদার চলাফেরা...
আমাকে নিয়তির আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে!

অজানা ভুলের মাসুল দিতে দিতে হাপসে গিয়েছি সেই কবে!
তবু্ও আমি নিজেকে মানুষ মনে করি বলে
বার বার ক্ষমা চেয়েছি, কখনো গলা জড়িয়ে,
কখনো হাত'পা ধরে, কখনও’বা কান্নাভরা ফোন কলে।

অমূল্য চোখের লোনা জলের মূল্য না পেয়ে হতাশায় ডুবে
নিজেকে লুকিয়ে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করে চলেছি নিরন্তর।
কি পাবো কি হবে এ আশায় নয়!
অসীম সীমানায় এক চিলতে আলোর প্রদীপ
জ্বলে উঠে যদি কোন ক্ষনে,
সেই প্রতীক্ষায় আজন্ম পাপের জিন্দেগী অতিবাহিত করার
মৃদু প্রয়াসটাই বাচার শক্তি জুগিয়ে যাচ্ছে ধমনিতে।

আজ গোধূলি লগ্নে তেমনি এক আলোর দিশায়
মন প্রাণ উচ্ছ্বসিত হয়েছিলো,
মন বীণায় কি এক আনন্দের সুর মিলিয়ে
রক্ত শিরায় নতুন উদ্যোমী কণিকার মিশ্র প্রবাহের চলমানতায়
আমি এক অন্য আমিত্বের তলবে হাজির হয়ে গিয়েছিলাম
আপনার আনন্দ আসরের মনিকুঠায়.....!

কিন্তু
সব পুলকসঞ্চার নিমিষেই তলিয়েছে অসম চিন্তার বাহুডোরে।
যা আমি ভাবি, যা নিত্য চষে বেড়াই হ্নদয়ের ক্ষেতে।
উর্বর কোন অনুঘটকের সন্ধান মেলেনি কভু,
মীমাংসার বানী শোনাতে এগুতে পারেনি কেউ।
অথর্ব সমাজে কোনঠাসা কংকাল ভুতুড়ে আবেশে
ভাবনার ঘোরে কেবল মিছে আশ্বাসের বুলি ছুড়িয়ে বেড়াতে পারে,
আমাকে ক্ষমা করিয়ে কাছে ভেড়ানোর আয়োজন করেনি কেউ!
অস্পষ্ট তামাশার ধূম্রজাল পেচিয়ে কালক্ষেপণের নাটক রচেছে সবাই।
আর কত ক্ষমা চাইবো আমি, কিভাবে ক্ষমা চাইতে হয়,
কেমুনে ক্ষমা প্রার্থনা যপে মানুষ?

গোধূলির সেই মিসড কল সেলুলার ফোনের স্ক্রিনে
ভেসে থাকতে দেখে অজানা পূলকে কিছুটা ক্ষন
ভেবে যেই না কল ব্যাক করলাম.....
অভাগার মন আশাহতের অতল তলে আবারও নিমজ্জিত!!!

সবাই সবার ভালবাসা পায় না, সবার জন্য সব ভালবাসাও নয়।
ভুল না করেও আমি অপরাধী,
ক্ষমা চেয়েও আমি পাইনি ক্ষমা, তবুও আমি ক্ষমাপ্রার্থী....

৬ মার্চ, ২০১৯
নিকুঞ্জ ২, ক্ষিলখেত