আমার কেবল ইচ্ছে করে শুয়ে থাকতে বদ্ধ ঘরে একা
জানালায় শাটার পর্দাও পারেনা আলোকে খুলে দিতে।
ঘুম অন্ধকার পেলবতায় জড়িয়ে ধরে কানে হাঁক দেয়
এ গলি ও গলি উঁকি দিয়ে শান্ত চুপটি করে শুয়ে থাকি।
তাঁর নরম গরম পেলব বাহুতে মুখ ডুবিয়ে সপ্নকে ফেরি
মশা মাছি উঁইয়ের ঢিবি কত কিছুই তো মাখছি সযত্নে।
আমার বিছানার পাশের কৌনিক থ্যাতলা নীল দেয়াল
তার বুকের উপরে বসে থাকে এক জোড়া হলুদ ব্যাঙ।
দেয়াল বেয়ে উপর নীঁচ করে প্রায় আলো খুঁজে ওরা ও
খুনসুটি খুনসুড়ি অন্ধত্বের মায়ায় হয়তো তাঁরাও বধির।
ঘুমের ঘোরে মাঝেমধ্যেই চমকে জেগে উঠি হঠাৎই
হলুদ ব্যাঙের কানে ধরানো সুরেলা অপেরার তীব্রতায়।
দেয়ালটার ঠিক উল্টো পাশেই আমার পুরোনো নকঁশা
চার হাত পায়ে দাঁড়িয়ে কামড়ে ধরে আছে ঘসা কাঁচে।
সেও দেখি ইদানীং খুব শুয়ে থাকার অভ্যাস করেছে
নয়া এলো কথা বকবকানি শুনি আমিও শুয়ে শুয়েই।
পুরোনো বইয়ের তাকে আজকাল প্রায় হানা দেয় উঁই
খুব ভদ্র আলাভোলা মন জয় করেছে আমার আগেই।
টুকরো টুকরো করা ছাপার কাগজে সপ্ন দেখে সে
প্রায় রাত্রি ঘুমিয়ে যায় পুরোনো নোংরা বইয়ের তাকেই।
আজকাল আমি শুয়েই শুয়েই বৃষ্টি দেখি মাখি বর্ষাতে
মাটির সোদা গন্ধে বৃষ্টির গায়ের গন্ধ ও প্রশান্তি দেয়।
শুয়ে শুয়েই তাঁদের উল্লাস দেখি শ্যামের চাদরে একা
আনন্দে জলে শুয়েই আমি তিড়িংতিড়িং নাচতে থাকি।
আমার কেবল ইচ্ছে করে শুয়ে থাকতে বদ্ধ ঘরে একা
বৃষ্টি কৃষ্টি কত কিছুই আসে যায় তারপরও আমার উঠা
হয় না,আমার ইচ্ছে হয় না,লোভ হয় না, আমি উঠি না।
২৯.০৪.১৯
বনানী