খুব ভারি কেজি দুয়েক হবে হয়তো কিন্তু তাতে কি
আরো দাও আরো দাও গোটা দশেক বিশেক বাধা কি।
তপ্ত বালুকণা তপ্ত প্রান্তর তপ্ত হয়তো তোমাদের মাথা
আমার আবার ওসব নেই হিমে আমার শরীর ঠাসা।
এক তলা দুই তলা গড়ো তুমি হাজার শতেক পলারে  
রইবো আমি গদির নিচে এঁদো গলির সতেজ কোটেরে।
তপ্ত নোনা গরম জলের স্নানে খুঁজে ফিরি আমি সিক্ততা
রবির কিরণে ছাতা মাথায় দিয়ে শেয়ালে দেখায় বদ্ধতা।
ঠারে শেয়ালের পানে চায় জোয়ান মরদ বলদ পুঁটি গরু
শেয়াল হাসিয়া কহিল বাবা গরু সব দিকেই দেখ মরু।
যতই চ্যাঁচাও ঘ্যাঁচাও প্যাঁচাও দিকে সিকে দাও হানা
আট ঘন্টার শিকলে দিয়েছি করবে কে আছে সে মানা।
ঘন্টা হিরন আমার বাপের শশুর করেছি আমি লব্ধ
চুশিয়া নিয়া আম্রবাঁকল মরুর ফুল হয়েছো তুমি জব্দ।
আমিও বা যাই কম কিসে ডাকিয়া করিয়া উঁচু নাক
হাট হটিয়ে বেলান্তে যাইয়া সজোরে বাজাই ঢাক।
দিতে হইবে মোরে সোনা মানিক লুটিয়া যাক হেলা
তোমার ঘন্টা তোমারি থাক দিয়ে দাও মোর যত বেলা।।

০১.০৪.১৯
আফতাবনগর