চায়ের ঠেকে আড্ডা মারেন
দশবারোজন বুড়োর দল
আশির কোঠায় পৌঁছে সবাই
আছেন আজও প্রাণোচ্ছল।
কেউবা ছিলেন এঞ্জিনিয়ার
কেউবা কৃতী অধ‍্যাপক
কেউ আপিসের বড়োবাবু
কেউবা ছিলেন সংগঠক।
তোলেন না কেউ সে সব কথা
এখন সবাই আড্ডাবাজ
ঘন্টা-দুয়েক আড্ডা দেওয়া
এখন তাঁদের মস্ত কাজ।
বার চারেকের চা-য়ের জোগান
হাবু-র দোকান চিলতে এক
জানেন না কেউ দাম কে মেটান
বলেন না কেউ, “আমায় দ্যখ্।”
হরেক রকম তর্ক চলে
ঠিক না বেঠিক নেই খেয়াল
মনের সুখে আড্ডা চলে
ভুলে বাড়ির চার দেয়াল।
কারুর চলা ডান দিকেতে
কেউ বা চলেন বাম দিকে
কিন্তু তাতে থোড়াই কেয়ার
বাঁধন অটুট মৈত্রীতে।
এমনি করে দিন কেটে যায়
বারোটা মাস গ্রীষ্ম-শীত
যে যেখানেই যেমন থাকুন
আড্ডা দিতে আসেন ঠিক।
একটু করে বয়স সবার
বাড়তে থাকে দিনকে দিন
চতুর্দিকে রঙের বাহার
মনগুলো তাই খুব রঙীন।
এই বুড়োরা যাবেন চলে
আসবে নতুন বুড়োর দল
রংচটা সব বেঞ্চিগুলোর
হয়তো হবে ভোলবদল।
কতো বুড়ো এলেন গেলেন
পাড়ার লোকে সাক্ষী তার
আড্ডাখানা চলতে থাকুক
হাবু-র চা-য়ের দোকানটায়।