স্নিগ্ধ মধুরা,       বিরহ বিধুরা,
    বনের বিধবা মেয়ে,
আজ এ নিশীথে,   শূণ্য সিঁথিতে,
      আনমনে আছে চেয়ে।
নিশীথের বাণী,   জ্যোৎস্না রজনী,
    কান পেতে শোনে আজ,
শুভ্র বসনা,     বিধবা ললনা,
    ভুলেছে সকল কাজ।
চির যৌবনা,   পূর্ণ জোছনা,
     আরক্ত হয় লাজে।
কে এই দুহিতা?   যেন বেদমাতা,
    এসেছে অটবি মাঝে!
আজ বিভাবরী,    যার রূপ হেরি,
      মুগ্ধতা দিল ঢেলে,
সেই সে যুবতী,    বিষাদ মুরতি,
     সজল নয়ন মেলে।
জনম দুখিনী,      চির বিরহিনী,
     বুকে তার কত ব্যাথা!
মাতাল সুবাসে,     যেন পরিহাসে,
    বলছে সে সব কথা।
শুভ্র উদাসী,      প্রেমের পিয়াসী,
     একাকিনী বনবালা,
বিবাহ লগনে,      প্রথম মিলনে,
     কন্ঠে সাজায় মালা।
অথবা মরণে,      তৃষিত পরাণে,
     সুরভিত ছোঁয়া তার,
দগ্ধ হৃদয়ে,       বারিধারা হয়ে,
      ঝরে পড়ে বারবার।
উষ্ণ আবেশে,     যায় ভালোবেসে,
       শান্তির গান গেয়ে,
মাতায় সন্ধ্যা,        রজনী গন্ধা,
      বনের বিধবা মেয়ে।

কুয়াশা