শ্রীচরণেষু জগন্মাতা,
মাগো,তুমি আসবে কবে?সইছে না আর তর,
আবার তোমায় দেখবো মাগো একবছরের পর।
তোমার মেয়ে একবছরে বদলে গেছে আরো,
তাইতো চিঠি লিখছি যাতে চিনতে তাকে পারো।
বসুন্ধরার বয়স বোধহয় কয়েক কোটি হল,
কালের স্রোতে উজান বেয়ে সময় চলে গেল।
অনেক বদল হয়তো তুমি দেখছো প্রতিবার,
এবছরও অনেক কিছুই পাল্টালো আবার।
ভারতভূমি স্বচ্ছ হল ধুলোবালি ঝেড়ে,
দেখবে কেমন পাল্টে গেছে পরিস্কারের জেরে।
শ্যামলা মেয়ের রঙ দেখে মা নাইবা যদি চেনো,
সবুজ কেটেই শ্যামলা মেয়ে ফর্সা হল জেনো।
আগের মত কোমল মনও নেইকো এখন তার,
ভূকম্পে তাই শুনলো এবার মৃতের হাহাকার।
রঙটা যতই ফর্সা হল,কঠিন হল মন,
কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় জ্বলছে সারাক্ষণ।
সুস্থ থাকার মন্ত্র পেল যোগ সাধনা করে,
পাড়ি দিল সুদূর নীলে লাল গ্রহটার ঘরে।
ভাসলো আবার বাণের স্রোতে নিম্নচাপের ফলে,
এডিস মশার জন্ম হল আবদ্ধ সব জলে।
তাইতো এবার ডেঙ্গুজ্বরে ভুগলো কতদিন,
বেড়েই গেল জ্বরের প্রকোপ দিনের পরে দিন।
সামলে নিয়ে মন দিল সে অর্থনীতির পরে,
আমানতে পড়লো বাঁধা সুদ আসলের ঘরে।
গহ্বর যতই চওড়া হল স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে,
নিম্নভূমি ডুবলো ধরার গা পোড়ানো জ্বরে।
এদেশ,ওদেশ,সেদেশ থেকে ভালই হল আয়,
সঠিকভাবে করলে প্রয়োগ আর কে তাকে পায়!
সর্বোপরি আন্তর্জালিক হওয়ার খবর পেয়ে,
এখন আছে আনন্দেতে তোমার মেজ মেয়ে।

কেমন আছ মাগো তুমি?বাবা কেমন আছে?
তাড়াতাড়ি এসো তোমার মেজ মেয়ের কাছে।
তুমি,তোমার চার দুহিতা,আমি সবার মেয়ে,
তোমার আসার পথের পাণে তাইতো আছি চেয়ে।
                                                
                                                  ইতি,
তোমার আরেক মেয়ে   

        

কুয়াশা