আলোর প্লাবনে রাজপথ যেন প্লাবিত হয়েছে আজ,
আঁধারে জড়ানো অলিগলিরাও পরেছে আলোর সাজ।
গগনচুম্বি মণ্ডপ মাঝে মৃণ্ময়ী দশভুজা,
ধনীর কৃপায় মহাসমারোহে আয়োজিত এই পূজা।
দেখতে এসেছে বহু লোক এই রাজকীয় আরাধনা,
বেড়েই চলেছে লম্বা লাইনে মানুষের আনাগোনা।
লোভনীয় সব খাবার সাজানো চারিদিকে থরেথরে,
সুগন্ধে তার আজ সবাকার মন আনচান করে।
যেদিকেই চাও খুশির আবহে দুঃখের নেই রেশ,
উৎসব দিনে সুখের আবেশে মোহিত হয়েছে দেশ।
কিন্তু ওই যে আলোকস্তম্ভ!তার নীচে কেন কালো?
এত লোক তবু ওখানে কি কেউ জ্বালতে পারেনি আলো?
ওখানে বসেছে ছোট এক ছেলে ভাইটিকে নিয়ে বুকে,
নগ্ন শরীরে দুটি হাত পেতে চাইছে সবার দিকে।
যদি কেউ কিছু দেয় দুটি হাতে পরম যত্নে নিয়ে,
টিনের বাক্সে রাখছে জমিয়ে বড় ভালোবাসা দিয়ে।
হঠাৎ সেখানে শুভার্থী কোনো দানশীল লোক এসে,
কি করবে সেই টাকাগুলো নিয়ে জিজ্ঞাসা করে হেসে।
ছেলে বলে আমি খাব পেটপুরে,ভাইকেও দেব খেতে,
আর সাধ আছে একটি নতুন পূজোর পোশাক পেতে।
সরল হাসিতে আলোকিত সেই মুখের পানেতে চেয়ে,
মনে হল যেন এখানেই আছে শৈল রাজের মেয়ে।
ধনীর দম্ভে গড়ে ওঠে ওই প্রাসাদ প্রতিম ঘরে,
দেখেছিলে যাঁকে তিনি তো আছেন আমাদেরই চারিধারে।
খুঁজেছিলে তাঁকে রাজার প্রাসাদে,খুঁজেছ কি চারিপাশ??
চেয়ে দেখো এই মানুষেরই মাঝে করছেন তিনি বাস।
কুয়াশা