অপরূপা তুমি তুলির ভাষাকে
দিয়েছ জীবন দান,
স্পর্শে তোমার শুষ্ক,কঠিন
পাথর পেয়েছে প্রাণ।
এলোমেলো কিছু শব্দ সাজিয়ে
কবিতা গড়েছ তুমি,
ঊষর মাটিকে উর্বরা করে
সজীব করেছ ভূমি।
সপ্ত সুরের মাধুর্য ময়---
তুমি সুমধুর গান,
অঙ্গচালনে,কটাক্ষবাণে
নৃত্যের অভিমান।
গিরিকন্দরে গুহা গাত্রকে
শিল্পে সাজালে তুমি,
তোমার পরশে চেতনা পেয়েছে
অচেতন দেবভূমি।
দেবতাও এসে তোমার পরশে
পেলেন মুরতি কায়া,
আঁধারে কখন জীবন্ত হয়ে
শিল্প হয়েছে ছায়া।
সেতুতে,সড়কে,যন্ত্র মানবে
কিংবা বিমানে রেলে,
আজ,কাল আর আগামী দিনের
স্বপ্নকে রেখে গেলে।
গগনচুম্বি মিনারে অথবা
স্থাপত্য কারুকাজে,
যেদিকে তাকাই সেদিকেই তুমি
আছ অপরূপ সাজে।
অপরূপা তুমি ছুঁয়েছ যখনি
সজীব হয়েছে কৃষ্টি,
শুভবোধ তুমি মানব মননে
ওগো অপরূপা সৃষ্টি।

কুয়াশা