'মেঘের' ঘরে 'বৃষ্টি রাণীর' আজকে অধিবাস,
'বজ্র' রাজা আসবে নিতে নেইকো অবকাশ।

মা 'মেঘ' তাই ব্যস্ত ভীষণ হাতে অনেক কাজ,
মেয়ে হবে তার রাজার রাণী, জামাই হবে বাজ।
আর তো মোটে একটি দিবস তারপরে তো বিয়ে,
শ্বশুর বাড়ী যাবে মেয়ে আঁধার করে দিয়ে।
মা 'মেঘের' তাই মুখে হাসি, চোখের কোণে জল,
পর হবে মেয়ে এটা ভেবেই আঁখি ছলোছল্।

বজ্র রাজার দেশে তখন সাজো সাজো রব
বধূবরণ আয়োজনে ঠিক যেনো হয় সব।
রাজার মাতা 'সৌদামিনী' ব্যস্ত ভীষণ আজ,
আর তো মোটে দণ্ড কয়েক,হাতে অনেক কাজ।
রাত পোহালেই ছেলের বিয়ে,কাজ কি হয় শেষ?
একটা দিকে না তাকালেই ঝামেলার একশেষ!

'বৃষ্টি রাণীর' মনের ভিতর খুশীর আনাগোনা,
'বজ্র' আছে হৃদয় জুড়ে অনেক দিনের চেনা।
বধূ হওয়ার স্বপ্ন যতো ছিল দু'চোখ জুড়ে,
এক নিমেষে পূর্ণ হবে 'বজ্র রাজার' সুরে।

'বজ্র রাজা' বসে তখন উদাস করে মুখ,
রাজা হয়ে প্রজার তরে দিতেই হবে সুখ।
'বৃষ্টি' এলে আমার ঘরে ঝরিয়ে দেবো তাকে,
তার পরশে মোর প্রজারা সুখে যেনো থাকে।
'রৌদ্র রাজের' আক্রমনে পুড়ে গেলো সব,
চতুর্দিকে জলের তরে হা-হা-হা-হা রব।
'বৃষ্টি রাণীর' পরশ পেয়ে সজীব হবে দেশ
আস্তে আস্তে শীতল হবে 'রৌদ্র রাজের' রেশ।


বৃষ্টি এলে দু'হাত পেতে চাইব বলিদান,
বলবো তাকে," মাতা হয়ে বাঁচাও প্রজার প্রাণ।
আমার ঘরে এলে তুমি,ধন্য হলাম আমি,
কিন্তু প্রিয়ে,রাজার কাছে প্রজা হল সবার চেয়ে দামি।
ক্ষমা কোরো আমায় তুমি ছিনিয়ে নিলাম সুখ,
স্বপ্ন তোমার গুঁড়িয়ে দিলাম,দিলাম কতো দুখ!"

বিয়ের পরে 'বৃষ্টি রাণী' শুনে সকল কথা,
প্রজার তরে ঝরিয়ে দিল নিজের সকল ব্যাথা।
বৃষ্টি স্নাত হয়ে সবাই ফিরে পেল প্রাণ,
অমর হল সবার তরে বৃষ্টি রাণীর দান।
সাত রঙা তার স্বপ্নগুলো 'রামধনুকের' সনে,
আকাশ পানে উঠলো ভেসে 'মেঘের' আলিঙ্গনে।