সময় যেখানে থমকে দাঁড়ায়,
রক্তের সেই দাগ,
রক্তিম সেই সরণিতে কাঁদে
জালিয়ান-ওয়ালাবাগ।
বহু মানুষের রক্তে রঙিন
হয়েছে তাহার ভূমি,
সময় গিয়েছে,তবুও শীতল
হয়নি তো মরুভুমি।
কান পাতলে আজও শোনা যায়
মানুষের হাহাকার,
নর,নারী আর ছোট শিশুদের
অসহায় চিৎকার।
সেদিনও ছিল পাখিদের রবে
মুখরিত এক ভোর,
সকালের রোদে আলোকিত ছিল
প্রতিটি পাড়ার মোড়।
শান্তির এক সমাবেশ সেদিন
হয়েছিল আয়োজন,
দলে দলে লোকে যোগ দিয়েছিল
সাথে ছিল প্রিয়জন।
তখন ভারতে রাজ করছিল
নির্দয় ইংরাজ,
পরাধীন দেশে অত্যাচারের
ছিল তারা মহারাজ।
দশ দিক জুড়ে উঠতো যখন
প্রতিবাদ,প্রতিরোধ,
ক্ষমতার জোরে,রক্তের দামে
নিত তারা প্রতিশোধ।
তখন বিকেল চারটে হবে..
শান্তি বাগান জুড়ে,
মূল দরজায় হঠাৎ তালা
লাগলো কেমন করে?
সবাই কিছু বোঝার আগেই
মারণ বুলেট ঝড়,
লাশের উপর লাশের পাহাড়
উঠছিল পর পর।
হাজার দুয়েক মানুষের খুণে
লাল হলো পাঞ্জাব,
জলভরা চোখে জেগেছিল বুঝি
বিপ্লবী মনোভাব!
নির্মম সেই হত্যা লীলার
এখানেই নয় শেষ,
মৃতদেহদের স্পর্শ করারও
ছিল নাতো নির্দেশ।
গর্জে উঠলো সারা দেশ জুড়ে
শত শত প্রতিবাদ,
ব্রিটিশ শাসকও মনে মনে যেন
গুণেছিল পরমাদ।
বিশ্বকবি দিলেন ফিরিয়ে
নাইটের সম্মান,
ঘৃণাভরে সবে ত্যাগ করেছিল
সকল বিদেশী দান।
ইতিহাস আজও গুমরে কাঁদছে,
চলে গেছে সেই দিন,
আজকের এই স্বাধীনতা সেই
বহু রক্তের ঋণ।
(আজ এপ্রিলের এই শেষদিনে সেই অভিশপ্ত ১৩ই এপ্রিলের স্মরণে এই কবিতা)