কোনো একদিন মাঘের ভোরে
পেলাম যখন প্রাণ,
দেখলাম চেয়ে বিধাতা তোমার
কত সুন্দর দান!!
আলোতে বাতাসে বড় হব আমি
দুলবো দোদুল দোলে,
দিনের শেষে ঘুমিয়ে পড়বো
আমার মায়ের কোলে।

ভাবার সঙ্গে বর্তমানের তফাৎ
বিরাট রকম,
বুঝিয়ে দিল শীতের বাতাস
করলো যখন জখম।
আমিও কিন্তু হার মানবার
পাত্র মোটেই নই,
যতই আমায় আঘাত করুক
চুপটি করে সই।
রোজ সকালে ঝরতো কত
সবুজ প্রাণের আশা,
ভাষাহীনের নীরব কথায়
কে বা দেবে ভাষা?

এক সকালে যুদ্ধ শেষে,
যেই খুলেছি চোখ,
হঠাৎ দেখি গাছের উপর
উঠছে কত লোক!
আসছে নাকি জ্ঞানের দেবী
মাতা সরস্বতী,
তাঁর চরণেই হবে নাকি--
মোদের পরম গতি।
কিন্তু তবু তাঁর দয়াতেই
বেঁচে গেলাম আমি,
হয়তো ছিল আমার জীবন
একটু বেশী দামী!

একটা সময় শীতের বেলা
ফুরিয়ে যখন গেল,
সাতটি রঙে রঙীন হয়ে
ফাগুন তখন এল।
আমিও এখন হলুদ ছেড়ে
সবুজ রঙে রঙীন,
সবুজ প্রাণে,সবুজ মনে
আমি এখন নবীন।

আস্তে আস্তে উঠছি বেড়ে--
ভয়ও গেছে হৃদয় ছেড়ে,
নানা রঙের স্বপ্নগুলো-----
খেলছে আমার হৃদয় জুড়ে।
ভবিষ্যতের সুপ্ত আশা----
আমার ভিতর খুঁজছে ভাষা,
নতুন প্রাণের সৃষ্টি করে--
পূর্ণ করবো মায়ের আশা।

কিন্তু হঠাৎ কি যে হলো!!!
স্বপ্ন কোথায় মিলিয়ে গেলো!!!
আঘাত লেগে সবুজ ত্বকে--
আমার খেলা সাঙ্গ হলো।

এখনো তো নবীন আমি
যুবতী তো নই,
তবু কেন এমন আঘাত
হানলো আমাকেই?
ঢিলটা ছুঁড়ে মারলে যখন
ভাবলে নাতো কই--
নতুন দিনের আশাও আমি
বক্ষে ধরে রই।
তোমার কাছে আমার আবার
কিই বা আছে দাম!
নিতান্তই তুচ্ছ আমি---------
আমি 'কাঁচা আম'।

কুয়াশা