ফাগুনের সেই দিনে
তুমি-আমি দুইজনে
চেয়ে আছি পথপানে
গোধূলি বেলায়।
ফাগুনের আগমনে
কি দোলা লেগেছে প্রাণে!
যেন কত অভিমানে
রেঙেছে পলাশ!
শিমুলের আল্পনা
মনে তার আনাগোনা,
কি এমন বর্ণনা
দেব আমি তার।
দখিনা বাতাস বয়,
কি জানি কি মনে হয়!
পুলকেতে লাগে ভয়
হারাবার সব।
কিশলয়ে লাগে দোলা,
মন আজ হরবোলা,
যেন এক পথভোলা
নদীর মতো।
আপন ছন্দে তার
সাগরকে কতবার
বলে তার ফিরবার
নেইকো উপায়।
আমিও বলছি তাই,
তবু মুখে কথা নাই,
আসলে বলতে চাই
অনেক কবিতা।
বুঝেও কি বুঝবে না!
সে আমার যন্ত্রনা
শুনেও কি শুনবেনা
বেদনা আমার?
কি করে বোঝাব তারে,
সে যে আসে বারেবারে,
ফাগুন মনের দ্বারে
জাগ্রত আজ।
আর নয় লুকোচুরি,
ধরা দাও পুরোপুরি,
নইলে জীবন তরী
হারাবে ঠিকানা।
এত কেন নীরবতা?
কেন এই স্তব্ধতা?
চোখে কেন আর্দ্রতা
নামছে আমার?
তবে কি সকলই ভুল?
বৃথা এই রাঙা ফুল,
যে ফুলে খোঁপার চুল
রাঙালো না সে।
আকাশ সিঁদুর লাল
মেঘেরা পেয়েছে পাল,
ছিঁড়ে গেছে মায়া জাল,
ফিরে গেছে শীত।
শুধু আজ এই মনে
শীতলতা কনকনে
রঙ নেই কোনোখানে
এ প্রাণে আমার।
হঠাৎ পরশ পেয়ে
আনমনে দেখি চেয়ে
যেন কত খেয়া বেয়ে
দাঁড়িয়েছ এসে।
কিছুই বলার আগে
রঙীন ফুলের রাগে
হৃদয়ের অনুরাগে
রাঙালে কবরী।
লাল রং রাশি রাশি
নত মুখে এল ভাসি
তবুও লাজুক হাসি
ফুটলো অধরে।
ফাল্গুনী এই বেলা
প্রাণে আজ দিল দোলা
মনেতে রঙের খেলা
শুরু হল আজ।
কুয়াশা