সৃষ্টির সেই জন্মলগ্নে , সময়ের উপকূলে,
স্রষ্টা তখন সাজাচ্ছিলেন পৃথিবীকে ফলে ফুলে।
একে একে তখন জন্ম নিয়েছে পুরুষ এবং নারী,
শুরু হয়েছে কালের দন্ড,ব্যস্ততা তাই ভারী।
তখন থেকেই নারীশক্তির হয়েছিল জয়-গান,
যুগে যুগে তাই অমর হয়েছে নারী শক্তির দান।
আদি শক্তিও পৃথিবীতে এসে ধরেছেন নারী কায়া,
দক্ষের গৃহে 'সতী' হয়ে তাই এসেছেন মহামায়া।
পিতার সঙ্গে পতির দন্দ্বে দিয়েছেন বলিদান,
পিতার গৃহে পতির নিন্দায় ত্যাগ করেছেন প্রাণ।
রাজ কূলবধূ 'জানকি'ও হেথা হয়েছেন বনবাসী,
সহধর্মিনী যোগ্য অর্থে---তিনি সেই মহিয়সী।
কপট ছলের শীকার হয়েও পেয়েছেন অভিশাপ,
'অহল্যা' তিনি---প্রস্তর রূপে করলেন পরিতাপ।
পঞ্চস্বামীর ভার্যা তিনি---শ্রীকৃষ্ণ তাঁর মিতা,
'যাজ্ঞসেনীও' ভরা সভা ঘরে হলেন অপমানীতা।
মৃত্যু যেখানে পরাজিত হয়,তিনি সেই মহাসতী,
'সাবিত্রী' তিনি,যাঁর তেজোগুণে প্রাণ পেয়েছেন পতি।
স্বামীর জন্য ইন্দ্র সভায় নাচ দেখালেন যিনি,
'বেহুলা' নামেই সর্ব কালকে জয় করেছেন তিনি।
যুগে যুগে এই নারী শক্তিরা হলেন অপরাজিতা,
কালের বক্ষে মৃত্যুও তাঁদের জ্বালতে পারেনি চিতা।
কুয়াশা