আবার একটা নতুন ভোর।
কুয়াশা জড়ানো,হিমেল
একটা শীতের ভোর।
কী অপার স্নেহ আর
পরম মমতায় 'কুয়াশা'
জড়িয়ে রেখেছে এই
বিশ্ব-চরাচরকে।
সারারাত ধরে সবার
গায়ে তুলে দিয়েছে
সাদা চাদর।ঠিক যেমন
কোনো মা মাঝরাতে
হিমের পরশ পেয়ে
চাদর টেনে দেন তার
ঘুমন্ত সন্তানের গায়ে--
ঠিক তেমনি....
শিশিরের ফোঁটায় ফোঁটায়
ভিজিয়ে দিয়েছে কঠিন মাটি,
রচনা করেছে স্বপ্নমায়ার জাল,
ঘুমপাড়ানি গানে নিশীথিনীর
চোখেও লাগিয়েছে ঘুমের ঘোর।
আর এখন এই ঊষালগ্নে,
নিশ্ছিদ্র এক বর্ম সৃষ্টি
করে দাঁড়িয়ে আছে তেজোদীপ্ত
প্রভাত রবির সামনে। সূর্যের
কিরণ বাছাদের ঘুম না ভাঙায়!!
কিন্তু এই প্রতিরোধ কতক্ষণ!!
দিগ্-বলে বলীয়ান দিনমণি
সপ্ত অশ্বের রথে চড়ে
ঐ তো এগিয়ে আসছে তার দিকে----
আর সময় নেই!!!! এবার তাকে
যেতে হবেই........
"আয়, বাছারা আয়,
এই তৃষিত হৃদয়ে আর একবার
বদ্ধ করি তোদের আলিঙ্গনে।"
'আঃ! কি শান্তি!!'
"এসো সূর্যদেব! গ্রাস করো
আমাকে।আলোয় ভরিয়ে দাও
আমার বাছাদের জীবন। তোমার
সাতরঙে রঙীন করো এই ভুবন।
আর এই বেদনাতুর মাতৃ-হৃদয়ে
দাও এক প্রতিশ্রুতি। সন্ধ্যা লগ্নে
বিদায় নেওয়ার প্রতিশ্রুতি।"
:::::::::::::::::কুয়াশা:::::::::::::::::