একবার এক খরা প্রবণ অঞ্চলে
একটা শুষ্ক প্রায় জলাশয়ের ধারে
বেড়ে উঠছিল একটা ছোট্ট লতানো গাছ।
গাছটা কুড়িতে ভরে উঠেছিল,
ফুলও ধরেছিল দু-চারটে গোলাপি গোলাপি।
কিন্তু প্রচন্ড খরার দাপটে
মাটি হয়ে উঠলো একেবারে খটখটে,শক্ত।
লতানো গাছটার দিন যাপন
হয়ে উঠলো বেশ কঠিন।
দিন দিন কঠিন আরো কঠিনতর হলো।
এখন পশু-পাখী, গাছ-পালা
আকণ্ঠ তৃষ্ণা নিয়ে চাই-
বৃষ্টি,এক পশলা বৃষ্টি।
হটাৎ বিকেল বেলা চারিদিক
অন্ধকার,গুমোট হয়ে উঠলো,
গাছের পাতা বৃষ্টির অপেক্ষায় হলো স্থির।
লতানো গাছটাও চাতক পাখির
মতো চেয়ে আছে আকাশে-
এইবার,এইবার হয়তো আসবে
এক পশলা বৃষ্টি।
কিন্তু বৃষ্টির বদলে এলো এক হিমেল হাওয়া।
কিছুক্ষনের মধ্যেই জাদুর মতো
চারি দিকের তাপমাত্রা গেল কমে।
লতানো গাছটা ভীষণ অবাক হয়ে
একটা স্বস্তির নিঃস্বাস ফেলে বললো
যাক বাঁচা গেল!
এইভাবে একদিন,দুদিন,তিন দিন
এক সপ্তাহ গেল।
কিন্তু কারো তৃষ্ণা নিবারণ হলো না।
যে লতানো গাছটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিল
সে এখন দুর্বল,ক্লান্ত শরীরে
সেই হাওয়ার মিষ্টি ঝাপটা নিতে না পেরে
তপ্ত মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে।
আর উদ্ভ্রান্তের মতো বলছে-
এক পশলা বৃষ্টি তোমাকে চাই,
তুমি থাকলে বাঁচা যায়।
তুমি থাকলে এই সুবুজ সতেজ থাকে,
ফলে-ফুলে ভরে ওঠে দেহ।
তোমাকে চাই
এক পশলা বৃষ্টি তোমাকে চাই।
হিমেল হাওয়া তো ভালোবাসা,
আর এক পশলা বৃষ্টি হলো বিশ্বাস
সুবুজ হলো সম্পর্ক
আর ফল-ফুল হলো সুখ-শান্তি।