কবিতা আসরের সকল কবিদের প্রতি আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং শুভেচ্ছা। আমি কুমকুম বৈদ্য। পাঁচ মাস হলো আমি কবিতা আসরের সদস্য, কবি বন্ধুদের সতীর্থ। ১৯৮৩ সালে, কলকাতার কাছে বারুইপুর শহরে আমার জন্ম এবং সেখানেই বেড়ে ওঠা। আমার বাবা একজন উকিল আর মা বাংলা সাহিত্যের শিক্ষক এবং তারা দু'জনেই রাজনীতিবিদ। আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা MCA। আমি পেশায় একজন সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। "পরবাস, মাধুকরি, অন্যনিষাদ, শব্দের মিছিল, কবিতা উৎসব, লিভিং প্লাস" প্রভৃতি অন-লাইন পত্রিকায়, আমার লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হয়। সাহিত্যের প্রতি আমার প্রগাঢ় ভালোবাসার জন্য, আমার মা মূল প্রেরণাদাত্রী।
সম্প্রতি প্রকাশিত হলো আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ - "বন্ধু নয় বন্ধু নয় হৃদয়ে সেফটিপিন" । গত ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০ এ কবিতা বইটি প্রকাশিত হয়, ব্লু রোজ পাবলিশার্স থেকে। প্যানডেমিক লকডাউনের সময়ে রচিত কবিতাগুলো এখানে সংকলিত হয়েছে।
২০২০ সালটা পৃথিবীর জন্য ছিল ভীষণ অন্যরকম। কোভিড-১৯ এর জন্য গৃহবন্দীত্ব আর কর্মসূত্রে দীর্ঘক্ষণ ল্যাপটপের এর সামনে বসে, সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অনুভূতিগুলো কবিতার ভাষায় প্রকাশের চেষ্টা করেছি। মোট ৪৮ টি কবিতা বইটিতে আছে। যার বেশিরভাগ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত। একগুচ্ছ "নামহীন কবিতা" আছে বইটিতে, যেগুলোতে উঠে এসেছে, এই শহরের সাথে আমার নিজস্ব নিবিড় অনুভূতির কথামালা, বা কখনো নিজের একান্ত অনুভূতিগুলো, যা হয়তো সাধারণ ভাষায় সবটা প্রকাশ করা যায় না।
মাঝে মাঝে বন্দী জীবনে হঠাৎ কিছু impulse মানে পেলে, বেঁচে থাকার নতুন অর্থ খুঁজে পাওয়া যায়, দূর করা যায় কিছু নিঃসঙ্গতা। লক ডাউনে ইনস্টাগ্রাম আর ফেসবুক ঘাঁটতে ঘাঁটতে কিছু পোস্টের ক্যাপশন, পছন্দের অভিনেতার কিছু কাজ, মাথার মধ্যে কিছু ভাবনার জন্ম দিলো। আর তার থেকেই জন্ম নিলো, অনভ্যস্ত কলমে কবিতারা। কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এ আমার অভ্যস্ত মাথা, এই শব্দের খেলাতে বেশ মজা পেয়ে গেলো। কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি কবিতা লিখবো আর তার সাথে পেয়ে গেলাম বেশ কিছু মানুষের উৎসাহ, বিশেষ করে আমার আদরনীয়া মা। তাদের সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
যাঁরা আমার কবিতার বইটি সংগ্রহ করতে চাইবেন, তাদের জন্য নীচে লিংকটি দিয়ে দিলামঃ
https://www.amazon.in/dp/9354271952?ref=myi_title_dp
বইটি প্রকাশনার সাথে সম্পৃক্ত সকলকে, আমার ধন্যবাদসহ আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং কবিতা আসরের সকল কবি, পাঠক, গুণগ্রাহীদের আশির্বাদ কামনা করছি। ধন্যবাদ।
আমার অগ্রজ কবি বন্ধু মার্শাল ইফতেখার আহমেদ , এই প্রতিবেদন লিখে দিয়েছেন, তার অমূল্য প্রেরণা আমাকে আগামী দিনে এগিয়ে দিতে সাহায্য করবে| মার্শাল ইফতেখার আহমেদ সাহেব কে অনেক অভিনন্দন