সূর্য তখন অস্ত যাচ্ছিল ধীরে ধীরে দিগন্তের ওপারে
খেয়াল করেছো! সূর্য কিন্তু কক্ষনো হুট করে ডোবে না আঁধারের কোলে
যদিও চাঁদ উঠেছিল তার ও কিছু আগে আকাশের উত্তর পূর্ব কোণে
দেখেছো ! খবরের কাগজে কক্ষনো চন্দ্রোদয় চন্দ্রাস্ত্রের কথা লেখে না
লালে লাল সেই আকাশ আয়নাতে তোমার দশমী র সিঁদুর মাখা মুখটা ভেসে উঠছিল বার বার
জানো তো ! লাল বললেই কেমন মে দিবসের রাঙা পতাকা ওড়ে পতপত করে
তারপর ধীরে ধীরে তোমার কাজল লতা থেকে কালি চুরি করে কে যেন মাখিয়ে দিল আকাশের গায়ে
অমনি না ! আমার কাজল লতার দোষ, ও তো তোমার সু লেখা কালির শিশি থেকে ছলকে পড়া কালি
আর তারপর একটা দুটো করে কদম ফুল সোনার ঝকঝকে কাঁটা দিয়ে গেঁথে দিচ্ছিল কালো আকাশ তোমার খোঁপায়
তাই বুঝি মাঝে মধ্যে অপুর মতো তুমি আমার মাথার ক্লিপ পকেটে পুরে নাও !
আর তারপর অনন্ত অপেক্ষা আমার কখন টুপ করে খসে পড়বে সেই তারা-
আর আমি পকেট বাড়িয়ে ধরে ফেলবো একদম বুকের ভিতরে,
আহা !!! যত আদিখ্যেতা!!!!