ছিল এক গোয়ালিনি দুধে দিল জল,
দেড়গুণ লাভ পেয়ে সে হাসিতে খলখল।
দুধ বিক্রির টাকায় কিনতে গেল চাল,
দোকানদার দিল তাকে শিলা ভরা চাল,
ওজনেও কম দিল কেন এই ফল ?
মোটা লাভ পেয়ে মুদি হাসিতে উজ্জ্বল।
দোকানি গেল বাজারে কিনিল সে মৎস্য,
চোখ ঘোলা টাটকা মাছ বুঝল না রহস্য।
ফরমালিন দেওয়া তাতে কিনিল সে তাই,
মাছওয়ালা হেসে বলে জিতে গেলে ভাই,
তারপরে খবর আসে মাছওলার কাছে
পোলায় ভেঙেছে ঠ্যাং চড়েছিল গাছে।
চিকিৎসার জন্য তারা গেল হাসপাতাল,
দুর্ভাগ্যবশত তাকে দেখিল দালাল।
দালালের খপ্পরে সে পড়ে গেল হায়!
চিকিৎসার টাকা নিয়ে দালাল পালায়।
মাছওয়ালা ভাবে মনে কেন এই ফল ?
চোখেতে ধরে না পানি দেখে তার হাল।
এক পুলিশ দেখে সে করিল নালিশ,
গোপনে ধরে পুলিশ করে মিল মিশ।
এক আনা তাকে দিয়ে নিল তিন আনা,
ঘরে পুলিশের ছেলে ট্যাঁকে হাত মানা।
তবুও হাতালো ছেলে নোট কয় খানা,
বন্ধু-বান্ধব নিয়ে সে গেল শুঁড়িখানা।
.........................................
বি.দ্র. এটা রূপক কবিতা,এখানে ব্যবহৃত
পেশাগুলোর নাম প্রতীকী মাত্র,
কোনো বিশেষ পেশাকে উদ্দেশ্য করে
কবিতাটা লেখা নয়।