ছিল এক কাক নিয়ে পরিবার,
ঘুরে ফিরে চরে খুশি যেথা তার,
সুখ ছিল মনে উড়ে যেত বনে
লেজ কাটা শিবা ছিল সেই বনে,
মহা চোর শিবা পড়েছিল ধরা,
হাতে হাতে ফল হলো লেজ হারা।
পরসুখ তার গায়ে দিত কাঁটা
শিবা বলে কাক খাস পচা, কটা,
রং তোর কালো দেখে মরি মরি
এ কথায় কাকের সুখ গেল সরি।
আরও বলে শিবা দেখ রাজহাঁস,
ধব ধবে সাদা জলে করে বাস।
সুখী রাজহাঁস যেয়ে দেখে কাক
এত সুখী দেখে থেমে যায় বাক।
ব্যথাতুর কাক বলে হাঁস দাদা
টলটলে জল কোথা নেই কাদা,
সুন্দর আহা! এত সুখী তুমি ?
মৃদু হেসে হাঁস জলে দেয় চুমি।
হাঁস কয় শোন এক রং মোর
উড়িতে চাহিলে পাব কোথা জোর?
দেখ তোতা পাখি যেথা খুশি যায়
লালচে সবুজ পাখা মেলে ধায়,
ওর মতো সুখী আর কেউ আছে?
শুনে কাক কথা ধায় তোতা পাছে।
তোতা বলে কাক দেখ তো ঐ শিখী
সব রং তার নয় তা তো মেকি,
চিড়িয়া হয়ে সে আছে মহা সুখে,
পেখম মেলে সে হাসি আনে দুখে,
কত লোক আসে নিত্য নতুন
ছবি তোলে আর খাদ্য নতুন।
কেকী সনে কাক কয় দুখে দুখে,
আছ তুমি দাদা খুব মহা সুখে।
ধরণীর রং যেথা যত আছে
দেখিলাম আমি সব তব কাছে
কাল হলো রং আমার জীবনে
শিকারী ধরেছে রেখেছে যতনে।
পরাধীন আমি বান্ধবহীন
সুখী করি নরে ধরে সারা দিন,
শোন কাক ভাই তুমি বড় সুখী
সুন্দর হলে হয় নাকো সুখী,
সুখে আছ তুমি পরিবার সনে
যেথা খুশি যেতে পার সারা দিনে।
বি.দ্র. স্তবক - ছয় চরণের
চরণ - দুই পর্বের চরণগুলো মিত্রাক্ষর
পর্ব - ৬+৬
লয় - মধ্যম
ছন্দের নাম - মাত্রাবৃত্ত