শ্রাবণ রাত্রে ঝরে ঝর ঝর
মনে পড়ে কাকে যেন বার বার,
এসে বার বার নিদ যায় ফিরে
তন্দ্রা আসিলে স্বপনের ঘোরে
দেখিলাম তারে বধূবেশি প্রিয়ে,
সমুখের পরে রয়েছে দাঁড়িয়ে।
সজল চোখেতে বরষার বারি,
কী যেন সে ভাষা বুঝিবার নারি।
কালো মেঘসম গোমড়া মুখেতে
অস্ফুট ভাষা নয়ন পাতেতে
বসন- ভূষণ হয়েছে সিক্ত,
কোমল নয়নে দাঁড়িয়ে রিক্ত।
গেলাম যখন ধরিতে সে হাত
অদৃশ্য বাধা সাধিল যে বাধ,
চুড়ি নিক্বণ কর্ণে আসিল,
ভাষাহীন ব্যথা মর্মে পশিল।
চলে গেল যেন বরষার রবে!
শ্রাবণ রাতে ঝর ঝর ঝরে।
মন্দ মধুর ঐ জীমূতনাদ
তার কণ্ঠেতে গানের নিনাদ!
সবই যেন আছে লয়,তাল,সুর
বর্ষার ধ্বনি শুনি সুমধুর,
ঝুপ ঝাপ করে একটানা ঝরে
শ্রাবণ রাত্রে ঝর ঝর ঝরে।
বিজলি ঝিলিক যেন তার হাসি,
সুধা হয়ে যেন ঝরে রাশি রাশি,
শিঞ্জন তার বৃষ্টির ধ্বনি
বারে বারে যেন ওঠে অনুরণি!
ভেজা পাতা যেন তার কেশপাশ,
স্বপনে দেখিয়া মিটিল না আশ।
বি.দ্র. স্তবক - ছয় চরণের
চরণ - দুই পর্বের,চরণগুলো মিত্রাক্ষর
পর্ব - ৬+৬
লয় - মধ্যম
ছন্দের নাম - মাত্রাবৃত্ত