বঙ্গদেশের রসগোল্লা
আসলে তা ছানার গোল্লা,
সবাই মজে তারই স্বাদে,
যদি পড়ে শেষের পাতে।
হারাধনের হাতে প্রথম
রসগোল্লা পেল জনম্,
ছানা, চিনি, গোলাপ জলে
রসের গোল্লা জন্ম নিলে।
সাদা রঙের ছানার মিষ্টি
ভরায় সে তো সবার দৃষ্টি,
চিনির সিরায় তা টসটসা,
খুশবু বাসে খুবই খাসা।
নবীন ময়রা নতুনরূপে
রসগোল্লা গড়তে গিয়ে
জমি-ভিটে, ইজ্জত- সম্মান,
খুইয়েছিল, পায়নি তো মান।
অনেক ত্যাগে,অনেক শ্রমে
ভালোবাসার বহু দামে
অবশেষে সফল হলো,
স্পঞ্জ গোল্লা সে তৈরি করল।
রাজভোগ,রাশবর নাম হলো তার
ল্যাংচা, মৌচাক আর দিলবাহার,
রসমালাই আর ক্ষীরমোহন
বহুনামে তার নামকরণ।
নতুন চাকরি, নতুন বিয়ে
উদযাপন হয় তাকেই দিয়ে,
পরীক্ষার ফল, জাত বাড়ি
খাওয়ায় তাহা হাঁড়ি হাঁড়ি।
নববর্ষ, ঈদ ও পূজায়,
ঐতিহ্য এই ছানার গজায়,
চাঁদবদন যে জমিন তার
জিহ্বায় তৃপ্তি আনে সবার।
ভ্যাকুয়াম টিন মোড়ক শেষে
যাচ্ছে তাহা বহুদেশে,
মন ভরিয়ে আনছে টাকা
ঘুরাচ্ছে সে অর্থের চাকা।
বি.দ্র. স্তবক - চার চরণের
চরণ - দুই পর্বের,চরণগুলো মিত্রাক্ষর
পর্ব - ৪+৪
লয় - দ্রুত
ছন্দের নাম -স্বরবৃত্ত