মা ডেকে কয় ওরে সোনা,
তুই যেন রে চাঁদের কণা
কী হতে চাও বড় হয়ে?
আমায় একটু যাও না কয়ে।

মায়ের কথায় শিশু হাসে
তাকায় কেমন লাজুক চোখে,
বলে আমি ডাক্তার হব,
রোগী তুমি রোগ সারাব।

খানিক ভেবে শিশুতে কয়
বল তো মা তুমি আমায়?
বিজ্ঞানীতে কেমন মানায়?
চশমা এঁটে জ্ঞান সাধনায়।

শিশু বলে শোনো শোনো
পুলিশ তুমি কেমন জান?
ধরিয়া চোর সাজা দেব,
দেশের দশের সেবা করব।

মৃদু হেসে মায়েতে কয়
সবার আগে সৎ হতে হয়।
তারই জন্য চাই যে মানুষ,
আমিও কি নই গো মানুষ?

শিশু তাকায় অবাক চোখে
কষ্ট লাগে মায়ের বুকে,
স্নেহের সাথে মায়েতে কয়,
একটু আমার কাছেতে বয়।

সেই তো হলো আসল মানুষ
আছে যাহার মান এবং হুঁশ,
মান অর্থ কী বলো না মা?
সম্মান বলেন সকলে যা।

হুঁশ আসলে বিবেক মোদের
শিখতে হবে সব ছোটদের,
মানুষ এখন সোনার হরিণ,
পড়েছে তার আকালের দিন।

ঘরে ঘরে গড়তে হবে
যেথায় শুধু মানুষ রবে,
পাহাড় সমান অর্থ দিয়ে
থাকবে তুমি গোরে গিয়ে? (সংক্ষেপিত)


বি.দ্র. স্তবক - চার চরণের
       চরণ - দুই পর্বের,চরণগুলো মিত্রাক্ষর
       পর্ব - ৪+৪
       লয় - দ্রুত
       ছন্দের নাম- স্বরবৃত্ত