ছোট থেকে দেখছি আকাশের তারা
সন্ধায় ঝলমলে দু’কূল ভরা
সূর্যে কিরণ আর হলুদ বরণ
নীল জ্যোৎস্না ঝরে চাঁদের কণা
দেখে দেখে আজ আমি বুড়ো হলাম
পৃথিবীর বাগানে উদ্বৃত্ত হলাম।
এরপর একদিন মালী আসবেই
আগাছা ভেবে তুলে ছুঁড়ে ফেলবেই
সেখানে চারা কৈশর ভরা
অবশেষে একদিন দেবে উপহার
নিষ্পাপ শিশির আর ফুলের বাহার
লাল নীল পাপড়ি রঙে সমাহার।
পড়াশুনা করা কিংবা চাকরি পাওয়া
ভাগ্যের চাবি বুক পকেটে নেওয়া
ফর্সা মেয়ে দেখে বিয়ে সামাজিক
ছেলে মেয়ে সংসার দীর্ঘ এপিক
ছোট্ট বাড়ি হবে দক্ষিণ খোলা
সৌরভে ঢাকা কিছু সন্ধাবেলা।
আয়নায় নিজেকে খুঁটিয়ে দেখি
আমারই প্রতিচ্ছবি? না কি কেউ দুঃখী
দুটো চোখে মৃত স্বপ্নদের উঁকি
হৃদয়টা যেন ঘর ভাঙ্গা এক পাখী
রূপোলী চুলে বিষ সময়ের দাঁত
বিষ্ময় বন্যার জলপ্রপাত।
ক্রমশ যাচ্ছে চলে কালের ঢেউ
পিছনে চলে সাথে আতঙ্ক ফেউ
সাজানো বাগিচা সব শুকিয়ে যায়
পাটকেলে ক্ষীণ রোদ পড়ে আঙ্গিনায়
সেই রোদে সেকে গা যাই এগিয়ে
ক্লান্ত অবশ মন বুকে নিয়ে।
সকালের সোনারোদ বিষাদ মাখা
দু’চোখের পাতা ভারী রাত্রি জাগা
জানলায় গান গায় পুরাতনী কাক
হাই তুলে দিন শুরু জীবিকার ডাক
মানুষের সুমুদ্রে ভেসে চলে যাই
জীবন যন্ত্র করার বৃথা চেষ্টাই।
সংসারে যোগফলে শিকে ছেঁড়ে যার
উপদেশ ঝরনা বিলোন অপার
লেং মেরে ভাগ্য যাকে ছেড়ে যায়
আঁস্তাকুড়ে অভিমান কুড়োয়
বিশ্বের রাজপথে ছন্দই সার
চেষ্টা শুধুই তাকে মুঠোয় ধরার।
এইভাবে ওঠাপড়া বক্রসোজা
একটু আরাম বা স্বস্তি খোঁজা
ঠেকে ঠোকে বেঁকে মেরে পথ চলা
শেষে ঈশ্বর দেয় কষে কান মলা
হাতকে উঠতে বলি হাত ওঠে না
মাথার আদেশ দেহ আর মানে না।
মৃত্যু অমোঘ তবু ভুলে আছি বেশ
আমি-আমি-আমি ছাড়া জানিনা বিশেষ
এক হাত জাগা নিয়ে কত মারামারি
শেষটা তো চার কাঁধে চেপে বলহরি
বলহরি হরিবোল নিজ কোলে টান ঝোল
লুটেপুটে নিয়ে সব বাজায় ঢোল...
বলহরি হরিবোল বলহরি হরিবোল......।।