হাতের মধ্যে আতর ছিল
গোধূলী বেলার মেয়ে
দুই কাঁধে তার ছোট্ট বেনী
ফুল ছিল সঞ্চয়ে ।

রুমাল নক্সা তুলছিল সে
সিফোন সুতোয় গেঁথে
হৃদমাঝারে চৌখূপীতে
ভয় ছিল ওত্ পেতে ।

ভয় ছিল তার ডালিম বুকে
সাগর ছোঁয়া চোখ
অন্ধরাতের শঙ্কা ছিল
আগুন সঙ্কট ।

কাঁটা তারের বন্ধনীতে
গণ্ডিকাটা মন
ভেতর পানে যন্ত্রণাতে
ছিল কি আবর্তন !

সমাজ ছিল বিচার সভা
তর্জনীতে রায়
সকল চোখের নীচে রেখায়
সুপ্ত অভিপ্রায় ।

সুপ্ত ছিল আতর সুবাস
বাসর সাজা রাত
গণ্ডি ছিল বিভেদ নীতির
আর ছিল সঙ্ঘাত ।

সঙ্ঘাতে উড়ছিল নিশান
সঙ্ঘাতে লিপ্সা
জালবৃত্তের ফাঁসদণ্ডে
বন্ধকী ইচ্ছা ।

ইচ্ছাগুলো বন্দী ছিল
কঠিন কঠোর
ছিন্ন শরীর নক্সি রুমাল
রিক্ত ভোর ।

ভোর নাকি সে রক্তআভা
নিষ্পেষণে
ভিতর দেহে লাভাস্রোত
দিক্ বিহনে ।।