শিশির ভেজা রাতে দাড়িয়ে শূন্য তেপান্তরে
কুয়াশার চাঁদর মুড়ে এক অজানা অনুভুতিতে
অপেক্ষা কি ফুরোবে সোনালী দিনের?
মুঠোবন্দি করেছি অনেক কিছু মনের স্মৃতিতে
যেসব দিন হারিয়ে ফেলেছি অজানা গহবরে
যখন সূর্যের প্রখর রোদ্রে পুড়েছি
তখন শিশির ভেজা সন্ধ্যা মনে করেছি।

আশায় বুক বেধেছি নতুনের হর্ষে
মুচকি হেসে শুভেচ্ছারত নববর্ষে
নক্ষত্ররাও অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে
সূর্যও হর্ষে অভিবাদনরত তীক্ষ্ণ রশ্মি জ্বালিয়ে।

পুরনোর অন্তে,নতুনের সূচনায়
স্বপ্নিল দিনের অপেক্ষারত শূন্য সৃষ্টিকর্তার বন্দনায়
অপেক্ষারত,নতুনকে স্বাগত জানাতে,
নবীন বছর এসেছে,শূন্য হাত ভরিয়ে দিতে।
যেরুপ কোকিলের ডাক নতুন আশার সঞ্চার করে,
হেথায় প্রজাপতি, ময়ুর উড্ডয়ন করে রঙ্গিন পাখনা।

রঙ্গিন দিনের বিভোরতা ফুরাবে না সোনালী দিনের অপেক্ষায়
ভালো থাকুক সেই শুকনো মর্মর পাতা
উন্মোচিত হোক আরো একটা রঙ্গিন খাতা।
শিশিরভেজা রাতে সবুজ পাতার নির্যাস ছুঁয়ে যাক
সোডিয়ামের হলদে আলোতে কাটবে যে দা
এই কামনায়,নতুন বাসনায়
ধুয়ে যাক অমানিশা কালো অন্ধকার এক আচমকা বরষায়।