ওঁয়া ওঁয়া স্বরে, তিক্ষ্ণ চিৎকারে
নামহীন শিশু আমি মধ্যপ্রহরে
তিনশত দিনের আঁধারে ভ্রমন
জাগিয়ে উল্লাস জগতে আগমন
শুরু হয় মরনের কঠিন জীবন।


পারিবার সংসার করে উৎসব
জায়া বা জননী করেছে প্রসব
দিন গুনে একদিন মৌলভী এসে
পুরতের আগমনে ঠিকুজি লিখে
বেনামী আমি এক পেয়ে যাই নাম
মাতাপিতা পরিচয়, লেখা হয় ধাম
কৈশোরে যৌবনে বয়ে সেই নাম
হায়াতের শেষে হয় চির প্রস্থান
কি আমি,কে আমি,কোথায় ছিলাম
প্রগাঢ বিস্মরণে লুকায় সে প্রমান।

শুধু জানি প্রাণ গেলে গোরেতে চোখ খোলে
অনন্তের মহাতরী চিরদিনের পাল তোলে
অন্তর কাঁপে তাই, আগুন না ফুল পাই
নাজাতের আশাতে, নিশিরাত কেঁদে যাই
দেখি যদি স্রষ্টাকে বেশী আর নাহি চাই।