চুরি ফিতা চেয়েছিল
পাটিতে বসে
প্রজাপতি খুশি হয়ে
পড়েছিল হাতে।
মাঝির নৌকো বাধা
ছিল না ঘাটে
সাঁতরে পাড়ি দিনু
ধরনীর হাটে।
দুই টাকা চুরি ফিতা
তিন টাকা দুল
এক টাকার মোয়া নিনু
পাঁচ টাকার কুল।
সন্ধ্যা নেমে ছিল
ধরনীর হাটে
বাতি নিয়ে বসেছিল
কালির ঘাটে।
কাছেতে যেতেই সখি
করিল আদর
দুজনাকে ঢেকেছিল
কুয়াশার চাদড়।
এইভাবে কাটিলো
অনেক বছর
শ্রাবণ চলিয়া গিয়া
আসিল ভাদর।
একদিন উঠানোতে
কাঁদিলো শিশু
চোখ জোড়া বুজেছিল
বুঝিনি কিছু।
বিকেলে নত মুখে
বলিল খালা
বউ তোর নাই আর
চিতা জ্বালা।
এসেছিল সখি মোর
প্রদিপ হয়ে
আলো দিত ঘরটাতে
সকলে কহে।
নিভিয়া গেল আইজ
প্রদিপটা মোর
আঁধার কাটিয়া গিয়া
আসুক ভোর।
বছর দুয়েক কাটিয়া
চৈতের পরে
পোলাটি পড়েছিল
ভিষণ জ্বরে।
পোলাটিকেও যমদূত
ফেলিল ফাদে
মায়ের লাগিয়া
হররোজ কাঁদে।
যমদূত তাহাকেও
নিয়া গেল সাথে
বলিতে গেলে মোর
পরানটা কাঁদে।
মা- বাপ মরেছিল
অনেক আগে
বউ পোলাও পড়িল
যমদূতের ভাগে।
আপন বলিতে আর
রহিল না কেহ
ক্ষুড়ো বলিল মোরে
তীর্থে যেও।
তীর্থে চলিনু একা
কেহ নাই মোর
আঁধার কাটিয়া ফের
আসুক ভোর।