রক্তিম বসন্তের পড়ন্ত বিকেল ।
সোনা ঝরা রৌদ্রে ভেজা সর্বশরীর,  
তোমার-আমার ।

মৃদু মন্দ দখিনা বাতাসে ভেসে,
যেন শান্ত দিঘীর মাঝে মরাল-মরালী সম
মুর্ঝায়মান শালুকের পাশে ।

কিছু কথা বলার ছিল,
আমার - হয়তো তোমারও ।

সোনালী আলোয় চক- চকে তোমার চিবুক ।
নীল আকাশের তলে সৃষ্টির অদ্ভুত সৃষ্টি তুমি নারী,
নাকি পৃথিবী নতুবা পূর্ণিমা রাতের পূর্ণচাঁদ ।
বুক ভোরে আছে কী যেন  একরাশ আকাঙ্খা ।
বেহায়া, বেলাল্লা পুরুষ মন,
তোমার সুডোল কায়ার পানে,
লজালু চোখে চুরি চুরি চেয়ে ।
স্তব্ধ শুধু কোন সে শালীনতার অক্টোপাসে।

মুখোমুখী, নর -নারী অধঃনমিত চোখে,  
শরমে মরমে মরি ।
দীর্ঘায়িত শ্বাস, আলোড়িত ধুক-ধুক  বুকে ।

কিছু কথা বলার  ছিল আমার, -
হয়তো তোমারও ।

তোমর ওষ্ঠকোণের অস্পষ্ট হাসি,
কখনও বেজায় শিহরণ ।
কাঁপিয়ে বেড়ায় বেদম বুকের ভেতর ।
অপেক্ষায়, বলার হৃদয়ে জমানো সে কিছু কথা ।

দরজা, জানালাহীন পরীতক্ত ঘরের সিঁড়িতে,
তুমি-আমি মুখোমুখী,
আর পাশের গাছের ওপর কালো কোকিল ।
সময়ের ক্ষনিক অন্তরালে কুহু-কুহু স্বরে,  
যেন বলে যায়, ----
কিছু কথা বলার ছিল আমার, -
হয়তো তোমারও !

ধীরে ধীরে বয়ে যাওয়া সময়ে,
সময় হলো যে বিদায় নেবার ।

আচু-কাচু মুখে ধীর গতি ধরে
তুমি চলতে শুরু করলে ম্লান, মূক মুখে ।
আর নতমস্তক পুতুলের মত
দাঁড়িয়ে রইলাম আমি ।

ঝুম-ঝুম নোপূরের শব্দ ক্ষীণ হয়ে এলো
দূরত্বের সাথে দূরে,  আরও দূরে ।

বুকের ভেতরটা কেমন যেন অসহায় ।
অশ্রু যে আর মানেনা কোনই বারণ ।

সন্ধিক্ষণের চুরি যাওয়া আলোতে
তুমি পেছন ফিরে দেখলে আমায়,  
ভারী-ভারী মুখে ।  
যেন কিছুনা বলেও বলে গেলে, -----

কিছু কথা ছিল বলার তোমার, ----
হয়তো আমারও !